Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মরক্ষায় কারাতে

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. আলতাফ হোসেন : লেখা-পড়ার পাশাপাশি মাশাল আর্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উন্নতি ঘটাতে পারে। শিক্ষার্থীরা মার্শাল আর্টের মাধ্যমে জীবনকে আরও বেশী সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে। নিজে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই খেলায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। মার্শাল আর্ট করার ফলে শরীর চর্চা হয়,মনে সাহস বাড়ে। ফলে শরীর ও মন উভয়ই সতেজ থাকে। মন থেকে অপরাধ প্রবণতা দূর হয়। মার্শাল আর্ট বা কারাতে অনেক পরিশ্রম করে আয়ত্ব করতে হয়। এই খেলাটি শিখতে অনেক ধৈর্য ও সাধনার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমান প্রজন্মের তরুন-তরুনিরা যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে যেভাবে অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে, কারাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ‘আত্মরক্ষায় কারাতে’ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১৫তম পর্বে আজ আমরা শিখবো আচকমা বা বøকের চতুর্থ ইভেন্ট ‘জুডকী’।
জুডকী.....
‘জুডকী’ প্রশিক্ষণের আগে ব্যায়াম বা ওয়ার্মআপের মাধ্যমে শরীরকে নমনীয় করে নেবে শিক্ষার্থী। কারণ কারাতে প্রশিক্ষণ যেহেতু কঠোর অনুশীলন তাই শরীরকে অনুশীলন উপযোগী করেই তারপর তা করতে হয়। ওয়ার্মআপের মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোই কারাতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত হয়। যে কোন খেলায় অংশ নেয়ার আগে ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে প্রস্তুত করে নেয়া উচিত। ব্যায়াম শেষ করে কারাতে প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। আজ প্রশিক্ষনার্থীরা শিখবে ‘জুডকী’র ব্যবহার এবং এর কার্যকারীতা। এই ইভেন্ট প্রশিক্ষনের শুরুতে প্রথমে সালাম বা বো করে কিবাডাসী পজিশন থেকেই তা শুরু করতে হবে। আচমকা অর্থাৎ বøকের মধ্যে চতুর্থটি হলো ‘জুডকী’। আর এটি শুরু করার আগে পূর্বের তিনটি বøক অর্থাৎ ‘ডোডকী’, ‘খাসিডাসী’ ও ‘ছোটকী’ করে তারপর জুডকী করতে হবে। প্রশিক্ষনের শুরুতে বাম হাতে ডোডকী, খাসিডাসী ছোটকী, করে নিয়ে একই সঙ্গে জুডকী করতে হবে। ছোটকীত শেষ হয়েছে ডান হাতে অর্থাৎ ডান হাতটি ছিলো মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় বুক বরাবর থুতনীর নীচে এবং কনুই ছিলো নীচে। এখন জুডকীতে ডান হাতের উপর দিয়ে বাম হাতটি ক্রস করে কোনাকুনি ভাবে বাম পাশে ঠিক বাম কপালের পাশে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় থাকবে, তবে শিক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে প্রতিটি মারের সঙ্গেই হোইস শব্দ করে মারতে হবে। এরপর ডান হাতটি চলে যাবে ডান কোমড়ে। এরপর ডান হাতে জুডকী করার সময় ডান হাতের উপর দিয়ে বাম হাতটি ক্রস করে মুষ্টিবদ্ধভাবে বাম কোমড়ে চলে যাবে। ডান হাতটি ঠিক বাম হাতে যেমনভাবে করা হয়েছিল ডান হাতে ঠিক তেমনিভাবেই করা হবে। ডান হাত কোনাকুনি ডান কপালে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় থাকবে। এভাবে একবার বাম হাতে আরেকবার ডান হতে আচমকা অর্থাৎ বøকের চতুর্থটি জুডকী করা যেতে পারে। জুডকী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রতিপক্ষের আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশল রপ্ত করতে পারে। বাহুতে ও হাতের কব্জিতে শক্তি বৃদ্ধিতে এই জুডকী অনুশীলনের কোনো জুরি নেই। শিক্ষার্থীদের আচমকা অর্থাৎ বøকের চতুর্থটি শেখানো হলো আজ। জুডকীর পরে আমরা ‘আত্মরক্ষায় কারাতে’র ১৬তম পর্বে শিখবো বøকের পঞ্চম ইভেন্ট ‘নয়াসিং’। যা আগামী প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।
লেখক: সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ, কারাতে কোচ ও চেয়ারম্যান, মানিকগঞ্জ গ্রীণ ক্লাব

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাতে

৩১ জুলাই, ২০২২
৭ এপ্রিল, ২০২১
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ