নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অস্ট্রেলিয়া সফরটি বেশিরভাগ ক্রিকেটারের জন্যই ছিল অনুশীলন সফর। তবে একজনের জন্য আরেকটু বেশি কিছু, লিটন দাস। ছিলেন দলের অধিনায়ক। সেই হিসেবে সফল একটা সফর হলো উঠতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। তাঁর নেতৃত্বে ডারউইনের নর্দান টেরিটরিকে (এনটি) পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও একটি তিন দিনের ম্যাচ প্রতিটিতেই হারিয়েছে এইচপি দল। বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের তরিতে ভাসা- নতুন এক অভিজ্ঞতাই হলো লিটনের। তবে তাতেও নিরঙ্কুশ তৃপ্তির ঢেঁকুড় তুলতে পাচ্ছেন না লিটন। নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ছিল উপভোগ্য। হতাশ নিজের ব্যাটিংয়ে। আক্ষেপ আছে দলের ব্যাটিং নিয়েও। তবে তৃপ্তির জায়গা হলো শেখা। অস্ট্রেলিয়া সফরে অনেক শিখেছেন তিনি। এই শিক্ষা কাজে লাগাতে চান আসছে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরসহ ভবিষ্যতের পথচলায়। একদিন আগেই ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন গতকাল। সেখানেই জানালেন অস্ট্রেলিয়া ‘শিক্ষা সফরে’র আদ্যোপান্ত।
এইচপি হলেও জাতীয় পর্যায়ের একটি দলকে বিদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যথেষ্টই রোমাঞ্চকর। নিজের জন্যও সফরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যাওয়ার আগে বলেছিলেন, রান করে জাতীয় নির্বাচকদের নজর কাড়তে চান। নিজের পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্তে লিটনের অনুভূতি মিশ্র। নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা তার কাছে ছিল দারুণ, ‘খুব ভালো একটি অভিজ্ঞতা ছিল। খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় খেলি। এবার একটা বাড়তি দায়িত্ব ছিল, ক্যাপ্টেন্সি সামলানো। এ জিনিসটায় পছন্দেরও একটা ব্যাপার থাকে। ক্যাপ্টেন্সি মজার একটি বিষয়। আমি এবার এটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।’
সফরে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও একটি তিন দিনের ম্যাচের সবকটি জিতেছে এইচপি দল। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ ছাড়া সবকটি খেলেছেন লিটন। জয়ই যদিও নেতৃত্বের শেষ কথা নয়, তবু মোটা দাগে বলতে হবে অধিনায়কত্বে এই সফরে তিনি সফলই। কিন্তু উল্টো স্বাদ ছিল নিজের ব্যাটিংয়ে। একদিনের ম্যাচে চার ইনিংসে একটিতে শুধু অপরাজিত ৭২ করতে পেরেছেন। একটিতে করেছেন ৪১, বাকি দুই ইনিংস ও তিনদিনের ম্যাচে সুবিধে করতে পারেননি।
নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন লিটনও। বললেন বিরুদ্ধ কন্ডিশনের কথা, ‘আমার ব্যাটিংয়ে আরেকটু ভালো করার জায়গা ছিল। আরেকটু ভালো বলতে...ভালো করার জায়গা ছিল। কিন্তু ভালো করতে পারিনি। ফর্ম সব সময় থাকে না। কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে ছিল না। প্রথম দিন যাওয়ার পরই আমাদের একটা অন্যরকম অনুভূতি আসছে। কারণ এখানকার আবহাওয়া, আর ওখানকার আবহাওয়া একটু ভিন্ন হয়। প্রথম ম্যাচটি আমরা অনেক কষ্ট করে জিতেছি। দুই-তিনটি পরিকল্পনা কাজে আসেনি।’
তবে রান না পাওয়ার হতাশার চেয়ে শিখতে পারার প্রাপ্তিটাকেই এগিয়ে রাখতে চান লিটন, ‘আমি এখান থেকে গিয়েছিলাম কিছু শেখার জন্য। কন্ডিশন কেমন, উইকেট কেমন। উইকেট পড়া যায় নাকি; এগুলোতেই আমার মূল মনোযোগ ছিল। সবারই কম-বেশি এটাই লক্ষ্য ছিল। অনেক কিছুই শিখেছি। ওই উইকেট আর আমাদের উইকেট অনেক ভিন্ন। এটা খেললে বোঝা যায়। আমাদের এখানে কন্ডিশনে ঘাম অনেক বেশি হয়। দশ মিনিট খেললেও প্রচুর পরিমাণে শরীর ঘেমে যায়। ওখানে ওটা হয় না। আবার ওখানে প্রচুর পরিমাণে বাতাস থাকে। এটা অনেক সময় পক্ষে থাকে, আবার বিপক্ষেও যায়। এসবে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি।’
লিটনের বিশ্বাস, এসব শিক্ষা তাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এবারের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন পড়বে সামনে, ‘এবারের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে। বিশেষ করে আমার জন্য। পরবর্তীতে খেলতে গেলে বোঝা যাবে, এই জায়গাটাতে খেলতে গেলে ওভাবে খেলা দরকার।’
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দলে ছিলেন লিটন। গলে প্রথম টেস্টে খেললেও পড়ে ছিটকে যান চোটে। আপাতত তার দৃষ্টি থাকবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে, টেস্ট দলে জায়গা ফিরে পাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।