নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হারারেতে গতকাল মোসাদ্দেক হোসেনের ছিল ২০তম টি-২০ ম্যাচ। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার এর আগের ১৯ ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ৭ টি। দলে আরও চারজন স্পেশালিষ্ট বোলার থাকার পরও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান প্রথম ওভারের জন্য তার হাতে বল তুলে দিলেন। কুড়ি ওভারের নব্য টাইগার কাপ্তান যে ভুল করেননি, তা প্রথম বলেই চাকাভার উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন মোসাদ্দেক। সেই ওভারেই তুলে নিলেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাধেভেরেকেও। এরপর নিজের পরবর্তী ৩ ওভারে নিলেন আরও তিন উইকেট। তাতেই ৭ ওভার শেষে ৩২ রানের মাঝে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের কোমর শেষ। স্বাগতিকরা সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ৮০ রানের মান বাঁচানো জুটিতে ভর করে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পারে টাইগারদের। লিটনের সাবলীল ব্যাটে সেই লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই হেসে খেলে অতিক্রম করে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে না নেমেও ম্যাচসেরা হন মূলত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেক বোলিং বিষ্ময়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের অর্ধেক শেষ হয়ে যাবার পর, গতকালও ত্রাণ কর্তার ভূমিকায় হাজির হন রাজা। ৫৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রান করেন এই মিডল ওর্ডার ব্যাটার। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যান বার্ল। এই দুজনের কল্যানেই মূলত ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় তারা। তাসকিনের পরিবর্তে খেলা তরুন পেসার হাসান মাহবুব ৪ ওভারে ২৬ রানে দিয়ে তুলে নেন বার্লের মূল্যবান উইকেট। তবে মুস্তাফিজও ১টি উইকেট শিকার করলেও তার বোলিং খুবই নির্বিষ ছিল, ঠিক একই কথা প্রযোজ্য ৪ ওভারে ৩৭ দেওয়া শরীফুলের বেলায়ও।
রান তাড়া করতে নেমে কোন চাপ ছিল না বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ৩৭ রানের সময় ৭ রান করা মুনিম শাহরিয়ার যেভাবে আউট হলেন তা খুবই দৃষ্টিকটু। ৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলে তার রান মাত্র ৩৪। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক বড় ব্যাটসম্যানও রান পাননি, তাই রানের দিকে নজর না দিলেও হয়। কিন্তু তার যে ব্যাটিংয়ের ধরণ বা শরীরী ভাষা তা দেখে মনে হচ্ছে তিনি এখনও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের জন্য প্রস্তুত নন। অন্যদিকে নির্ভরতার প্রতীক লিটন আরেক প্রান্ত থেকে খেলে যান চোখ জুড়ানো সব শট। সর্বশেষ ৯ টি-২০ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে হেরে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য ১৩৬ রান যে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়নি তা মূলত এই ওপেনারের দরুনে। ৩০ বলেই অর্ধশতকের দেখা পান এই স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান। এর ঠিক ৩ বল পরে ৫৬ রান করে শন উইলিয়ামসের বলে এলবিতে কাটা পড়েন, যে সিধান্তটি খুবই বিতর্কিত ছিল। সিরিজে রিভিউ না থাকায় অসনষ্টি নিয়ে মাঠ ছারেন লিটন। দলীয় রান তখন ৭৮। আগের ম্যাচে বাজে ব্যাটিং দৃষ্টান্ত স্তাপন করা বিজয় আজ ভালো শুরু পাওয়ার পরও তা টেনে নিতে পারেননি।১৫ বলে ১৬ রান করে লিটন আউট হবার ৩ বলে পরে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। আফিফ ও শান্ত মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে সেখান থেকে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ২৮ বলে ৩০ করা আফিফ পেয়েছেন ১টি বাউন্দারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি। মাধেভেরের বলে লং অন দিয়ে যে ছইয়টি হাকালেন তা হারারের বিশাল গ্রাউন্ডের বাহিরে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। অন্যদিকে শান্ত্র সংগ্রহ ছিল ২১ রান।
প্রথম ম্যাচের ভুল শোধরানর জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকার পরও দ্বিতীয় ম্যাচের পরীক্ষায় উতরে গেলেন অধিনায়ক সোহান। আগামীকাল তাই এই ভ্যেনুতে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচটি হতে যাচ্ছে তার অগ্নিপরীক্ষা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।