নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্টাফ রিপোর্টার : ডিজেবিলিটি রাইটস প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল (ডিআরপিআই) নামের একটি সংগঠন বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে অবহিত করতে একটি মিট দ্যা প্রেস করেছে। ‘আমার দক্ষতাই আমার পরিচয়’ এবং ‘আমরাও জাতীয় উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার’ এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় ডিজেবিলিটি রাইটস প্রমোশন ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইটি লাউঞ্জে এ মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
ডিআরপিআইয়ের বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. ফেরদৌসি বেগমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরপিআইয়ের প্রধান গবেষক, কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ডিজেবিলিটি বিষয়ক বিখ্যাত প্রফেসর এবং কানাডার সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত নাগরিক ড. মার্সিয়া রিউ, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাত্তার দুলাল।
মিট দ্যা প্রেসে জানানো হয়, ডিআরপিআই পুরো পৃথিবীতে প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায় ও জনসচেতনতায় কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে ডিআরপিআই কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে এডবিøওএআরই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ডিআরপিআই বাংলাদেশে বিগত ৪ বছর যাবত এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবন্ধীদের তাদের যোগ্যতা ও অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনা করে যথাযথ কাজে নিয়োজিত করার প্রয়াস চালিয়ে আসছে। ডিআরপিআই বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবা, কলকারখানা ও অন্যান্য চাকুরির ক্ষেত্রসমূহ এবং প্রতিবন্ধীদের স্ব-কর্মসংস্থানে সরাসরি সহায়তা করে থাকে।
ডিআরপিআই বিশ্বাস করে কর্মের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোন দয়া বা সহানুভূতির বিষয় নয় বরং এটি তাদের অধিকার। জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী বিষয়ক সনদ তৈরীতে ড. মার্সিয়া সরাসরি কাজ করেছেন। বাংলাদেশে তিনি এই প্রকল্প সফল করতে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
এই বিষয়ে ড. ফেরদৌসি বেগম সাংবাদিকদের অবহিত করেন যে, ডিআরপিআই বাংলাদেশে বর্তমানে এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই এবং আরো অনেক প্রখ্যাত শিল্প মালিকদের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে তাদের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য প্রতিবন্ধীদের নিয়োগদানে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে ডিআরপিআই আরো কাজ করছে আইএলও এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে।
মিট দ্যা প্রেসে বক্তারা বলেন, আমাদের জনগোষ্ঠির প্রায় ১৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী। তাই তাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো একেবারেই সম্ভব নয়। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের কাজে নিয়োগদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানকে একটি ইনক্লুসিভ ওয়ার্কপ্লেস এ পরিণত করেছেন তাদেরকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হবে। ইতিমধ্যেই ভারতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায় ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং এক্ষেত্রে সামাজিক শৃঙ্খলকে ভেঙে সকলকে এগিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।