নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ১৭ টেস্টের শেষটি খেলেছেন দুই বছর আগে। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত খেলেছেন মোটে তিনটি ওয়ানডে। একই সময়ে টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র দুটি। একসময় ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা ‘ফিনিশার’ নাসির হোসেন যেন ব্রত্যই জাতীয় দলে! এক সময়ে একাদশে নিশ্চিত ছিলেন নাসির। ইদানিং একাদশ তো দূর, দলে থাকতেই কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হয় তাকে।
জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা নাসির জানেন, নিজের জায়গা ফিরে পেতে কতটা ঘাম ঝরাতে হবে তাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থিতু হতে কতটা প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখোমুখি হতে হবে। সে সব মাথায় রেখেই ‘সিরিয়াস’ অনুশীলনে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে পাঁচ ইনিংসে করেছিলেন চারটি অর্ধশতক। এরপর সব ধরনের ক্রিকেটে দেশের হয়ে টানা ৪৯ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি একবারও। প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে অনেকবারই বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান না পাওয়াতেই দলে থাকেন না নাসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেই ফিরতে হবে তাকে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ আসরে রানের দেখা পেয়েছেন নাসির। জাতীয় দলের আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। ৮ ম্যাচে মাত্র একবার আউট হওয়ায় তার রান আর গড় একই ২২৬। করেছেন দুটি শতক, তার একটি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার সেরা অপরাজিত ১৩৪ রান। নাসিরের বিশ্বাস এমন পারফরম্যান্সেই দলে তাকে জায়গা করে দেবে, ‘এতটুকু বিশ্বাস আছে, আমি যেভাবে খেলছি সেভাবে খেলতে পারলে অবশ্যই, অবশ্যই জাতীয় দলে ঢুকব। অনেক দিন ধরে দলের বাইরে (আছি), এটা সত্য কথা..তবে লক্ষ্য তো ওভাবে করি না যে আমি এটা করব, ওটা করব। দলের সাথে এখন অনুশীলন করছি, এটাই এখন আমার সব থেকে বড় কাজ। দলে ফেরার জন্য আমি সিরিয়াস অনুশীলন করছি। দলে ঢোকার ব্যাপারটি আমাদের হাতে নেই। তবে আমার করণীয় যা তা আমি করছি।’
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার অনেক আছে দলে। মাহমুদউল্লাহ তো অনেক দিন ধরেই আছেন। নতুন যোগ হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ। একই ধরনের অনেক খেলোয়াড় থাকায় জায়গা পাওয়ার লড়াইটা এখন তীব্র। ব্যক্তিগতভাবে কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা থাকার কথা উড়িয়ে দিলেন নাসির, ‘আমি মনে করি না, (জাতীয় দলে খেলার জন্য) আমার কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী আছে। কিংবা জাতীয় দলে কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী। এখন ওরা ভালো খেলছে, দোয়া করি যেন জাতীয় দলে যারা আছে তারা আরও ভালো খেলে। জাতীয় দলের জায়গা সবার জন্য এবং সব সময়ই উন্মুক্ত থাকবে। ভালো খেললে সুযোগ অবশ্যই আসবে।’
সেই সুযোগ এলে যেন হারাতে না হয় তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন নাসির। তার বিশ্বাস, ফিটনেস ঠিক থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে চেষ্টা করছেন নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার, ‘আমার অনেক জায়গায় ঘাটতি আছে, সেটা আমি জানি। আমার টিমমেটরা জানে, কোচিং স্টাফরা জানেন। এ জিনিসটা আমি শেয়ার করতে চাচ্ছি না। কারণ, আমি চাই না আমার দুর্বলতা (প্রতিপক্ষের) কেউ জানুক। ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্বলতার যে কথাটা আসছে, আমি কিন্তু দেশের বাইরেও রান করছি। সেটা বয়সভিত্তিক দল বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলেন- সব ক্ষেত্রেই কিন্তু রান করেছি। আমি জানি না এ কথা কে বলেছে। আমার মনে হয়, এটা তার ব্যক্তিগত মত।’
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ১৫ ওয়ানডেতে ১৬ উইকেট নিয়েছেন নাসির। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্য পঞ্চম সর্বোচ্চ। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনটাই সমানভাবে উপভোগ করা অলরাউন্ডার উন্মুখ নিজেকে আরও শাণিত করতে। তার বিশেষ মনোযোগ ফিনিশিংয়ের দিকে। জাতীয় দলে ছয় নম্বর জায়গায় চোখ রেখে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এক সময়ের ‘দ্য ফিনিশার’, ‘আমি মনে করি, আমার জন্য জাতীয় দলের সেরা ব্যাটিং পজিশন ছয় নম্বর। আমার জন্য এটা সুইটেবল। প্রিমিয়ার লিগে ওপরে ব্যাটিং করি..ওখানে ছয়ে ব্যাটিং করলে বড় কিছু করার সুযোগ থাকে না। জাতীয় দলে আমার জন্য ছয় নম্বর জায়গা ঠিক আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।