নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ডিভোর্স না হওয়া সত্বেও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। তবে নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত নাসির ও তামিমার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সাথে আগামি ১০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এরআগে গত ২৪ জানুয়ারি চার্জের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওনদিন তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিব উল্যাহ হিরু। বাদীপক্ষে ইশরাত হাসান চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি চার্জের বিষয়ে আদেশের জন্য রাখেন।
এদিন তারা আদালতে উপস্থিত হন। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন তারা।
এরআগে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পিবিআই‘র পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান। শুনানি শেষে আদালত ক্রিকেটার নাসিরসহ তিনজনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওই দিন তারা আদালতে হাজিরা দেন এবং জামিন নেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।