Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াশিংটন পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত উত্তর কোরিয়াকে মানবে না

উ. কোরিয়ার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

| প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। কোরীয় উপদ্বীপে চলা এই মহড়ায় গতকাল বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালাচ্ছে তারা। মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের বরাতে এই তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। প্যাসিফিক কমান্ড থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া অবৈধ কর্মকাÐের জবাবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র তার আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করেছে। আর দক্ষিণ কোরিয়া তাদের হিউনমু মিসাইল পরীক্ষা করেছে যা খুব দ্রæত আঘাত আনতে সক্ষম। অপরদিকে, উত্তর কোরিয়া একটি দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের প্রতি প্রতি হুমকি আরো ছড়িয়ে পড়া বলে অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সতর্ক করে বলেছেন, ওয়াশিংটন কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত উত্তর কোরিয়াকে মেনে নেবে না। উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারা একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াও সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে জবাব দিয়েছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন বলেছে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার নির্ভুলতা প্রদর্শন করার পরিকল্পনাতেই সম্মিলিত ওই সামরিক মহড়াটির আয়োজন করা হয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষাটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও দেশটির এখনও দীর্ঘ পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা নেই বলে ধারণা প্রকাশ করছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা। গত মঙ্গলবার দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে একটি আইসিবিএম-র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এটিই তাদের দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা বলে দাবি করেছে দেশটি। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া এখন পূর্ণ-শক্তির পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ। আমরা এখন সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। এর মাধ্যমে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি এবং বø্যাকমেইল করার প্রবণতার ইতি টানতে পারব। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হওয়াসং-১৪ ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন বলেও জানানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ২,৮০২ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে মাত্র ৩৯ মিনিটের মধ্যে ৯৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নৌসীমায় গিয়ে পড়ে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার কোনও ক্ষেপণাস্ত্র এত বেশি উচ্চতায় ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনিয়ন কনসার্নড সায়েন্টিস্টের ডেভিড রাইট বলেছেন, প্রতিবেদনগুলো সত্য হলে স্টান্ডার্ড ট্র্যাজেকটরি থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ পাল্লা ৬,৭০০ কিলোমিটার হতে পারে। এই পাল্লা অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্রটি আলাস্কায় পৌঁছতে পারবে, কিন্তু হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ বা যুক্তরাষ্ট্রের অপর ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে পৌঁছতে পারবে না। কোনো দেশ যদি উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ও সামরিকভাবে সহায়তা দেয় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয় তাহলে বিপজ্জনক একটি সরকারকে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা করার দায়ে অভিযুক্ত বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়াশিংটন

২০ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ