পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সম্মেলনে বাংলাদেশকে দাওয়াত না দেয়ার বিষয়টিকে দেশটির ‘ভূরাজনৈতিক হিসেবে-নিকাশের’ প্রতিফলন হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। একইসঙ্গে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরাতে ‘তৃতীয় পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে’ দাবি করে সরকারের কূঠনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার এবং বন্ধু দেশগুলোর কাছে সব বিষয়ে ‘সঠিক তথ্য’ তুলে ধরার পদক্ষেপ গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন জোটের নেতারা।
গতকাল এক ভার্চুয়ালি আলোচনা সভায় জোট নেতাদের বক্তব্যক বিশ্লেষনে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যে আমির হোসেন আমু বলেন, সারাবিশ্ব যখন জঙ্গিবাদ আলোড়িত একটি বিষয়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে। জঙ্গি নির্মুলে যেই সংস্থার গুরুত্বপূর্ন অবদান সেই সংস্থাকে আঘাত করা হচ্ছে কেন আমাদের বোধগম্য নয়। আজকে বঙ্গাপসাগর নিয়ে যে বলয় সৃষ্টি হয়েছে, সেই বলয়ে আমাদের দেশ অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার কারনেই চাপ প্রয়োগ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। এই সদ্ধান্ত অতান্ত ভুল সিদ্ধান্ত। এটা তাদের জন্যোই সম্মানজনক বা নিরপেক্ষ বলে প্রমান হবে না। এটা তাদের জন্যধই একটা অসম্মানজনক সিদ্ধান্ত বলে পরিগনিত হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা শুধু দেশের জঙ্গিবাদ নির্মুলে সফল নয়, বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষায় সফলভাবে কাজ করছে, প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে আমু বলেন, সেই সমস্ত দেশের কিন্তু তারা ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি তাদের বিবেচনায় আনা উচিত। এখানে তৃতীয় কোনো শক্তি আমাদের সম্পর্কের মধ্যেই ফাটল ধরানো বা এই ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যোমে এই দেশের জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়াস আছে কি না বা তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে কি না? যে বাহিনী নারী পাচার রোধ, মাদক চোরচালান রোধসহ জঙ্গিবাদ নির্মুলে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে তাদের বিষয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে তলিয়ে দেখা উচিত। তাদের সিদ্ধান্ত বদলানো উচিত।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যাান নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, সাম্যাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীফ বড়–য়া। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।