পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রাসূল সা.এর আদর্শ থেকে দূরে সরে থাকার কারণে সামাজিক অস্থিরতা ও অপরাধ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
নারী নির্যাতন, অপহরণ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমনকি পিতার হাতে পুত্র, পুত্রের হাতে পিতা খুনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে হলে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি শের-ই বাংলানগর থানা শাখার উদ্যোগে রাজধানীর শের-ই বাংলানগরস্থ আগারগাঁও পাকা মার্কেট মসজিদ প্রাঙ্গণে বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদের খতীব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঢাকা বিভাগীয় ছদর হাফেজ মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা ওয়ালীউদ্দিন রাশেদী, মুফতি ফয়জুল্লাহ ফয়েজী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মুফতি কামরুল ইসলাম আরেফী ও মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করে মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গো-রক্ষার নামে হিন্দু উগ্রবাদীরা অসংখ্য মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ভারতের পশুবাদী সন্ত্রাসী হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে মুসলমানদের উপর তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। অবিলম্বে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর পশুবাদী হিন্দুদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে মুসলমানরা নিরবে বসে থাকবে না। সারাবিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমান বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, ভারত বিভিন্নভাবে মুসলমানদের উপর তাদের নগ্ন আক্রমন করে যাচ্ছে। সেইসূত্রে ভারতীয় চলচ্চিত্রে ‘আল্লাহ মেহেরবান’ নামক সিনেমায় চরম অশ্লীলতার প্রকাশ করা হয়েছে এবং হযরত আয়েশা সিদ্দীকাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করা হয়েছে। এভাবে ভারতীয় ছবি মুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে বিশোদগার করেই যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এধরণের ভারতীয় ছায়াছবিসহ সব ধরনের চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।