পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরীকে বহনকারী ত্রাণবাহী গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
গতকাল রোববার দুপুরে তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মির্জা ফখরুলের গাড়ি বহরের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওপর নগ্ন হামলা কার্যত: গণতন্ত্র এবং মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরকার পাহাড় ধসে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রকৃত অবস্থা দেশবাসীকে জানতে দিতে চায় না।
খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ত্রাণবাহী গাড়িবহরে হামলা সরকারি দলের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসে মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় সরকার বলতে গেলে নির্বিকার। রাঙ্গামাটির পরিস্থিতি ‘মহা বিপর্যয়কর’। বিপর্যস্ত জনপদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে বর্তমান সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া হামলার প্রতিবাদে বলেন, সরকার তার ব্যর্থতা আড়াল করতে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কোনও রকম অপকৌশল গ্রহণ করবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করতে চাই। সরকারের উচিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের গাড়ির বহরে হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
নতুন রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্যর আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, সারাদেশ যখন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে তখন এ ধরণের হামলা গণতন্ত্র প্রত্যাশী মানুষকে শংকিত করে তোলে। তিনি অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিএনপি মহাসচিবের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনা সরকারের ও সরকারী দলের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। সরকার একদিকে আইনের শাসনের কথা বলছে অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হামলা-আক্রমন ও নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে দমন করার কৌশল গ্রহণ করেছে। এই কৌশল আত্মঘাতি হতে বাধ্য।
তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
২০ দলীয় জোট শরীক জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিবের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। তারা বলেন, এ হামলার মধ্যদিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির নিকৃষ্টতম উদাহরণ দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অপর এক বিবৃতিতে এ হামলার ঘটনায় জাগপার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। তিনি বলেন, হামলা-মামলা করে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন দমানো যাবে না। চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতনের সূত্রপাত হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোট শরীক এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এ হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মানুষ কতটা জালিম হয় এই সরকারকে দেখলেই শুধু সেটা বোঝা যায়। পাহাড় ভেঙে মাটি চাপা পড়ে মানুষ মরে অথচ আওয়ামী লীগ নেত্রী যায় আনন্দ ভ্রমণে। তারা নিজেরা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করে না এবং কাউকে সাহায্য করতে দিতেও চায় না।
হামলার নিন্দায় শত নাগরিক জাতীয় কমিটি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শত নাগরিক কমিটি। বিবৃতিতে কমিটি বলে, মির্জা ফখরুল ইসলামের মত এমন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
আমরা মনে করি, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ত্রানবাহী বহরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এই হামলা গণতন্ত্র ও পরমতসহিষ্ণুতার ওপর হামলা।
অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানায় শত নাগরিক কমিটি।
বিবৃতি দাতারা হচ্ছেন-
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ (আহŸায়ক), সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, শওকত মাহমুদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহফুজ উল্লাহ, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, আবদুল হাই শিকদার (সদস্য সচিব), ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এম আব্দুল্লাহ, এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আকা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (মালয়েশিয়া), প্রফেসর ইশাররফ হোসেন (মালয়েশিয়া), ড. কেএমএ মালিক (যুক্তরাজ্য), শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (আয়ারল্যান্ড), আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আবদুল্লাহিল বাকী (ফ্রান্স), তমিজ উদ্দিন (ইতালি), ড. মোবাশে¡র মোনেম, ড. আবুল হাসনাত, ড. এবি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর ড. আজহার আলী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো: হায়দার আলী, প্রফেসর একেএম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কেএএম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. সামসুল আলম, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, রেদোয়ান হোসেন, বাছির জামাল, একেএম মহসিন, মির আহমেদ মিরু, ড. লুৎফর হমান, ড. তাসলিমা মানসুর, ড. মোরশেদ হাসান খান, ড. মো: মোজাম্মেল হক, ড. মাহফুজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন, প্রফেসর শাহ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর আসমা সিদ্দিকা, ড. সৈয়দা আফরোজা মামুন, কৃষিবিদ আনোয়ারুনবী বাবলা, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, প্রফেসর মো: শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী কাজী মো: সুফিয়ান, ড. মোহসিন জিল্লুর করিম, প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ, প্রকৌশলী মমতাজ আহমেদ, প্রকৌশলী আল আমিন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ একরামুল হক, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, গোলাম সামদানী, রাশেদুল হাসান হারুন, চৌধুরী আবদল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক শাহনাজ সরকার রানু, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার, প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, প্রকৌশলী মো: মাহফুজ, প্রকৌশলী মো: মালেক, প্রকৌশলী কাজী মেজবাহ, প্রকৌশলী মোসলেহউদ্দিন, প্রকৌশলী আল আমিন, ডা. ইফতেখার লিটন, ডা. বেলায়েত হোসেন, ডা. আবদুল মোতালেব, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. বদিউল আলম, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবুল কাশেম, এ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী মাসুদুল হক খান, প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আনম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, সামশুল হক হায়দরি, জাহিদুল করিম কচি, ইসকান্দার আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ডা. মোহাম্মদ ঈসা, ড. মো. মিজান, প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. এ এ গোলাম মুর্তজা হারুন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভ‚ঁইয়া, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, মনির খান, রিজিয়া পারভীন, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, শরুফুজ্জামন জাহাঙ্গীর, এ্যাডভোকেট আবেদ রাজা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।