মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দি কুইন্ট : চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সম্পর্কে সম্প্রতি কলকাতা রিসার্চ গ্রæপে এক প্রকাশ্য বক্তৃতায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ এস আকবর জায়েদির লজ্জাকর অভিযোগ বেইজিংয়ের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবর) উদ্যোগ বিষয়ে অনেকের গুরুতর উদ্বেগের সত্যতা প্রতিপাদন করেছে। জায়েদি এ বক্তৃতার শিরোনাম দিয়েছেন ‘চীন কি পাকিস্তানকে নিয়ে নিয়েছে?’ তিনি তার দাবির সমর্থনে বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।
আসলে সার্বভৌমত্বের বিষয় ছাড়াও সিপিইসির কাছে আরো অনেক কিছু আছে যা মনে হয় ভারতকে এর বিরোধিতা করতে ও মে মাসে বেইজিংয়ে ওবর সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করতে উৎসাহিত করে। জায়েদি সিপিইসির স্মার্ট সিটিগুলোতে নজরদারি লোক সরবরাহ নেটওয়ার্ক প্রকল্পগুলোর ব্যয়ে স্বচ্ছতার অভাব থেকে শুরু করে সিপিইসি প্রকল্পগুলোতে চীনা শ্রমিক ব্যবহারে চীনা পুঁজির জন্য অগ্রাধিকার আচরণ পর্যন্ত ব্যাপক ভিত্তিক বিষয়ের উল্লেখ করে চীনা উপনিবেশায়নের অপচ্ছায়াকে তুলে ধরেন। চীনা বিনিয়োগ তিক্ততায় রূপ নিয়েছে এমন উদাহরণ হিসেবে তিনি শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান ও আফ্রিকার বহু দেশের কথা উল্লেখ করেন যেসব স্থানে অপরিশোধিত ঋণের বদলে চীনা কোম্পানিগুলোকে জমি দিতে হয়েছে।
ওবর সম্মেলন থেকে দূরে থাকলে লক্ষ্য অর্জিত হবে না
ভারত ওবর-এ যোগ দিতে পারে না যদি তার অর্থ এই হয় যে অন্যদেশে চীনা অর্থায়নের মাধ্যমে যে সম্পদ সৃষ্টি হয় তার উপর চীনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। জায়েদি বেইজিংয়ের সাথে আলোচনায় একটি সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন যাতে ঢাকা কীভাবে চীনা প্রকল্পগুেেলাতে তাদের পরিবেশগত উদ্বেগের দিকে মনোযোগ দিতে বেইজিংকে বাধ্য করেছে। সুতরাং বেইজিংয়ের ওবর উদ্যোগ ও সে যা গোপন করতে চায় তা প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জের শক্ত কারণ রয়েছে।
তবে একটি সম্মেলন থেকে দূরে সরে থেকে এ লক্ষ্য অর্জিত হবে না যাতে এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান পর্যন্ত যোগ দিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ম্যাট পটিঙ্গার। অন্যদিকে জাপানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটির মহাসচিব তোশিহিরো নিকাই।
ভারতের উচিত ছিল সার্বভৌমত্ব বিষয়ে প্রতিবাদসহ এ সম্মেলনে যোগ দেয়া। উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত সিপিইসি কাশ্মীরের একটি অংশ দিয়ে যাচ্ছে যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ভারত তা নিজের বলে দাবি করে।
ভারতের আরো উচিত ছিল ওবর-এর সাথে সংশ্লিষ্ট অপ্রীতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরার সুযোগ নেয়া এবং এ উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব প্রকাশে বেইজিংকে বাধ্য করা যার মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যত কমান্ড-কন্ট্রোল মেকানিজম প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন থেকে পুনঃপরিশোধ বিষয় ও আরো অনেক কিছু।
চীন ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী এবং বলেছে, ভারতকে ওবর-এ আনতে সে অতিরিক্ত পথ হাঁটতেও প্রস্তুত। কিন্তু অপ্রীতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরার সুযোগ নষ্ট করে এবং সম্ভাব্য বিচ্ছিন্নতার জন্য অনুশোচনা করে ভারত এখন যে অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে তাতে হয় ওবর-এ যোগ দিতে হবে নয় তা থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। ভারত একটি ফোরামে প্রশ্ন করার সুযোগ হারিয়েছে যা কিনা সুস্পষ্টভাবে চীনাদের ভারসাম্যহীন করে তুলত।
তো, এখন কী হবে?
এ মুহূর্তের জন্য এমইএ-কে জায়েদির কাছ থেকে একটি সূত্র নিয়ে পিছনে বসে থেকে শান্তভাবে ফল বিশ্লেষণ ও চীনা চক্রান্ত বোঝার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কিছু পরামর্শ ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে যে চীনারা যদি পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ভারতেরও উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে দেয়া। কোনো কিছুই ভারতের জন্য বেশী আত্মঘাতী হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইতোমধ্যেই আমাদের লেমোয়া চুক্তি হয়েছে যার ফলে দু’ দেশ পরস্পরের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। সুতরাং খারাপ কিছুর ক্ষেত্রে মার্কিন সেনা সম্পদ মোতায়েন সব সময়ই সম্ভব। আসল ঘটনা, পাকিস্তানে চীনা ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে খবর ছড়ানো পেন্টাগনের ভারতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যেও হতে পারে।
ভারত যদি তার স্বাধীনতার জন্য গর্ববোধ করে তাগলে তাকে তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে এবং বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে আচরণ ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি মোকাবেলায় পাকিস্তানের পথে যাওয়া পরিহার করতে হবে।
যদি রাজনৈতিক ইসলাম পাকিস্তানকে ব্যর্থ করে থাকে তাহলে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদ ভারতের জন্য ভালো হবে না। পাকিস্তান ও যে দ্বিজাতি তত্তে¡র উপর তা প্রতিষ্ঠিত তাকে ভিত্তিহীন প্রতিপন্ন করতে ভারতকে আগ্রাসীভাবে সুভাষ বসুর সকলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয়তাবাদে ফিরে যেতে হবে, বিভক্তির গেরুয়া পথে নয় যা দেশকে দুর্বল করবে। এবং জায়েদি যেমনটি কলকাতা বক্তৃতায় বলেছেন মার্কিন স্বার্থে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের খিদমত, তারপর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সউদী আরবকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া এবং সর্বশেষ চীনের কাছে নতজানু হওয়া পাকিস্তানকে কোনো দেশের কাছে, বিশেষ করে ভারতের কাছে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য মডেল করেছে।
চীনকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে ভারতের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের আস্থা, একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের আত্মবিশ^াস প্রয়োজন। গণতন্ত্র ও মিশ্র অর্থনীতির উপর গড়ে ওঠা ভারতীয় ব্যবস্থা তাকে একটি পর্যায়ের নমনীয়তা দিয়েছে যা চীনাদের কাছে সহজলভ্য নয় যারা একদলীয় রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে এক সুপার-ক্যাপিটালিস্ট অর্থনীতি সৃষ্টি করার চেষ্টায় সর্বাধিক দ্ব›েদ্বর বিরোধিতা সমন্বয় করতে গিয়ে ঘুম বিসর্জন দিয়েছে। ওবর-কে এক সুবিশাল ভূ-অর্থনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবে প্রদর্শন করলেও তা চীনর অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সমস্যা সংকটকে বহির্মুখী করার একটি চেষ্টা হতে পারে। এটা মাও-এর ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ বা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মত ব্যর্থ হতে পারে। চীনের আলিঙ্গনে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলো ইতোমধ্যেই তিক্ত হয়ে উঠেছে। আরো অনেকেই যখন ঋণ পরিশোধ করতে না পারার জন্য সার্বভৌমত্ব হারাবে তারাও সে পথই অনুসরণ করবে।
নেপালি সম্পাদক কনক দীক্ষিত জায়েদির কলকাতা বক্তৃতা শেষে ভারতের আবেদনের একটি উপসংহার টানেন যখন নেপালের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের জন্য তিনি ভারতের সমালোচনা করেন। তবে তিনি দ্রæতই তার কথায় যোগ করেন যে অবরোধ বিষয়ে আমার নিবন্ধগুলো ভারতের মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু চীনে কি আমি এ সুযোগ পেতাম?
ভারত যেহেতু তার গণতন্ত্র ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে আপস করে না তাই উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে সে এখনো বিশ^াসযোগ্য মডেল হিসেবে রয়েছে। পাকিস্তান যদি চীনের সেবাদাস হয় ভারত যুক্তরােেষ্ট্রর ভৃত্য হবে না।
বরিশালের এলজিইডি’র প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আর্থÑসামাজিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তননাছিম উল আলম : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রকৌশল অধিদফ্তর বরিশাল জেলার দশটি উপজেলায় দেশী বিদেশী তহবিলে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সড়ক,সেতু, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, আবাসন সুবিধা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে বরিশাল জেলার সুদুর পল্লী এলাকায় আর্থÑসামাজিক ব্যবস্থায় যথেষ্ঠ ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। দীর্ঘদিনের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের পল্লী এলাকায় অনেকটাই প্রাণের সঞ্চার ঘটছে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সদুর প্রসারী পরিবর্তন ঘটছে। সুদুর পল্লী এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হচ্ছে সড়ক ও সেতুসমুহ নির্মানের ফলে। বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ২৪০কোটি টাকা ব্যায়ে ৪৭টি স্প্যানে ২হাজার ২৪২মিটার দীর্ঘ ৫টি সেতুর নির্মান কাজ চলছে। সার্বিকভাবে এসব সেতুর কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৫%। এর মধ্যে প্রায় ৬৬.৮৬কোটি টাকা ব্যায়ে ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় মুলাদীÑকুতুবপুরÑমোল্লারহাট সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদ-এর ওপর ৪৩২মিটার দীর্ঘ প্রী-স্ট্রেসড কংক্রীট গার্ডার ব্রীজটির কাজের অগ্রগতি ৬৩%। ঐ একই প্রকল্পের আওতায় সানুহারÑধামুরাÑসাতলা সড়কে প্রায় সাড়ে ৬৮কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ৫৬০মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রীজটির কাজের অগ্রগতি ৯০ভাগ। ‘বৃহত্বর বরিশাল উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় হারতা বাজার সংলগ্ন কঁচা নদীর ওপর ২৮০মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রীটির কাজের অগ্রগতিও ৯৫%। সেতুটি নির্মানে ব্যায় হচ্ছে ৩০কোটি ৫১লাখ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় বরিশাল মহানগরীর অদুরে বিশ্বাসের হাটের কাছে কড়াইতলা নদীর ওপর ২শ মিটার পিসি গার্ডার ব্রীজের কাজের অগগতি ৯১%। তবে প্রকল্পটির মধ্যভাগের ১টি স্পানের নকশা পরিবর্তনসহ এর জন্য ভিন্ন ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। দুই পর্বে প্রায় ২০কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ এসেতুটির নির্মাণ কাজ আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমীন জানিয়েছেন। এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়াÑগোবিন্দপুর সড়কে ১১টি স্প্যান বিশিষ্ট ৪৪০মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মানে ব্যায় হচ্ছে প্রায় ৫৩কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির কাজ প্রায় ৮৫ভাগ শেষ হয়েছে। ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় বরিশালের দশটি উপজেলাতে প্রায় ৩০৪কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ৯৬টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের ৯০ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। ৯৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৮০টির কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছ। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পগুলোর বিপরিতে বরাদ্বকৃত ২৭কোটি ৬৪লাখ টাকার বিপরিতে ২৬কোটি ২৩টাকা ব্যায় হয়েছে ইতোমধ্যে। ৩৮কোটি টাকা ব্যায়ে ‘পল্লী সড়ক,ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচী’র আওতায় ৯৯টি স্কীমের বিপরিতে ৩৮টির কাজ শেষ হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতির হার ৬২%। ‘অগ্রাধীকার ভিত্তিক পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’এর আওতায় ১৬০টি স্কীমের বিপরিতে প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয়েছে ৯৭কোটি ৫৬লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এপ্রকল্পের ২৯%কাজ শেষ হয়েছে। ১৬৯কোটি টাকা ব্যায়ে ‘বৃহত্তর বরিশাল জেলা গ্রামীন যোগাযোগ ও হাট বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় ১৭০টি স্কীমগ্রহণ করা হয়েছে বরিশাল জেলায়। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ১৩৯টি স্কীমের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতির হার ৯৮%। প্রায় ১৫৭কোটি টাকা বায়ে ‘জরুরী-২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পূণর্বাশন প্রকল্প’এর আওতায় বরিশাল জেলায় ১১১টি স্কীমের ৮৬টির কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতির হার ৮৪%। প্রায় ২৪কোটি টাকা ব্যায়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্প সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার ১০টি উপজেলার ৩৯টি স্কীম গ্রহণ করা হয়। যার শতভাগ কাজই ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। প্রায় ১২কোটি টাকা ব্যায়ে ‘অগ্রাধীকার ভিত্তিক গুরত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প’র আওতায় বরিশালে ১৮টি স্কীম গ্রহন করা হয়। যার সবগুলোর কাজই ইতোমধ্যে সাফল্যজনক ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ‘সড়ক ও জনপথ থেকে স্থানন্তরিত প্রকল্প’ ৬টি স্কীম এলজিইডি গ্রহণ করে। প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যায় এ প্রকল্পটির শতভাগ কাজও ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। ১কোটি ৭১লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘আইডবিøুআরএম-এর আওতায় রাজস্ব খাতে বরিশাল জেলায় ৬টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রায় পৌনে ৬কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’র সবগুলো স্কীমই ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ১হাজার ১২৩কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘আরইআরএমপি-এলসি এস প্রকল্প’র আওতায় গৃহীত ৮৫টি স্কীম গ্রহন করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই যার বাস্তবায়ন শুরু হবে। ১৭কোটি ৬৫লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী’র আওতায় ১১টি স্কীমের মধ্যে ১০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছ। সার্বিক অগ্রগতির হার ৭০%। ২২কোটি ৮৫লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৩য় পর্যায়’এর আওতায় গৃহীত ২৪টি স্কীমের শতভাগ কাজ শেষ হয়ছ ইতোমধ্যে। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট ৮.৫৯কোটি টাকা ব্যায়ে ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প’এর আওতায় বরিশাল জেলায় গৃহীত ৭টি স্কীমের সবগুলোর কাজও ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। প্রায় ৬০কোটি টাকা বায়ে ‘বরিশাল বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’এর আওতায় জেলায় ১৭৩টি স্কীমের ৭১টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। অগ্রগতির হার ৮০%। প্রায় সাড়ে ৭কোটি টাকা ব্যায়ে বরিশালের ৭৯জন ‘ভূমীহীন ও অসচ্ছল মূক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান প্রকল্প’র আওতায় ৫৩জনকে ইতোমধ্যে ঘর নির্মান করে দিয়েছে এলজিইডি। কাজের অগ্রগতি ৭৫%। জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলাতে মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ শুরুর পরে ৫টির কাজ শেষ হয়েেেছ। প্রকল্প ব্যায় ১৬কোটি ৭৮লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৪টি উপজেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজও খুব শিঘ্রই শুরু হবে বলে জানা গেছে। ‘কোষ্টাল ক্লাইমেট রেলিজিয়েন্ট ইনফ্রাষ্ট্রাকচার প্রজেক্ট’র আওতায় বরিশাল জেলায় ৭৮টি স্কীম গ্রহন করা হয়। ৮২কোটি ৬৬লাখ টাকায় ব্যায় সাপেক্ষ এ প্রকল্পের অগ্রগতির পরিমান প্রায় ৭৫%। ৭৮টির মধ্যে ৪১টি স্কীমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৭কোটি ৮১লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় গৃহীত ২৫টি স্কীমের ১৩টির কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ২০কোটি টাকা ব্যায় বরিশালের মেহেদিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার ৬টি ব্রীজ/কালভার্ট ও ৬টি রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্প’র কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭০%। প্রায় ১৩কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প’এর আওতায় ২টি স্কীমের ৪৮% কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ৮কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষনা ও প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট প্রকল্প’টির ৮০ভাগ কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ২কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব সহিষ্ঞু গ্রামীন যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’এর আওতায় বরিশাল জেলায় ১১টি স্কীম বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতি ৩০%। প্রায় সাড়ে ৪কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মান প্রকল্প’এর আওতায় বরিশালে ২টি স্কীম রয়েছে। সদ্য গৃহীত এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ১০% বলে জানা গেছে। জেলার ‘গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্প’এর আওতায় ১৫টি স্কীমের বিপরিতে বরাদ্বের পরিমান প্রায় ২০কোটি টাকা। আগামী অর্থ বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার সম্ভবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ১কোটি ২৫লাখ টাকা বায়ে সাপেক্ষ ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি স¤প্রসারন পাইলট প্রকল্প’এর আওতায় স¤প্রতি বরিশালেও একটি স্কীমের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটিও আগামী অর্থবছরে সম্পন্ন হবার কথা জানিয়েছন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন। আত্মবিশ্বাস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।