Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে যুক্তরাজ্য

সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণে ঝুলন্ত পার্লামেন্টকে ‘স্তব্ধ পার্লামেন্ট’ আখ্যা দেয়া হয়েছে

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দলের ভেতরে বাইরে থাকা তীব্র অসন্তোষ সত্তে¡ও ব্রিটেনে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের লাইভ কাভারেজে এই খবর জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ কনজারভেটিভ দলের পক্ষে শিগগির ঘোষিত হতে যাচ্ছে থেরেসার নতুন নেতৃত্ব। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণে ঝুলন্ত এই পার্লামেন্টকে স্তব্ধ পার্লামেন্ট আখ্যা দেওয়া হয়েছে। গঠিত হতে যাওয়া সরকারকে ইতিহাসের দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে আভাস দেয়া হয়েছে, খুবই ক্ষণস্থায়ী হবে আসন্ন সরকারের ভবিষ্যত। রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের আগেই নিশ্চিত হয়ে যায়, আসন্ন পার্লামেন্টটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে যাচ্ছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো থেরেসা মে’কে পদত্যাগের আহŸান জানান বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন। পূর্ববর্তী নির্বাচনের চেয়ে বেশি আসন পাওয়া লেবার নেতা বলেন আসন হারানো মধ্য দিয়ে নেত্বত্বের যোগ্যতা হারিয়েছেন মে। সবার প্রতিনিধিত্বকারী নতুন এক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি মে কে পদত্যাগের আহŸান জানান। নিজ দলের অনেক এমপিও তাকে পদত্যাগ করতে বলেন। তবে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান মে। বাকিংহাম প্যালেসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানান, তাকে সরকার গঠনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেজা মের অবস্থান হবে খুবই দুর্বল এবং তিনি হয়তো বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতেও পারবেন না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি)সমর্থন নিশ্চিত করে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিক নয়, ইস্যুভিত্তিক সমর্থন পাচ্ছে কনজারভেটিভরা। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনও স্থিতিশীল সরকারের লক্ষণ নয়। তাছাড়া ব্রেক্সিটপন্থি, গর্ভপাত বিরোধী এবং এলজিবিটি-প্রশ্নে নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট (ডিইউপি) পার্টির সঙ্গে ঐক্য নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে মে’র দলের অভ্যন্তরে। এর বাইরেও থেরেসাকে নিয়ে দলের অভ্যন্তরে রয়েছে নানান ধারার অস্বস্তি। সবমিলে থেরেসা মে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা জানানো হয়েছে গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধানে। নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি সর্বোচ্চ ভোট এবং এককভাবে সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়ার কথা ভাষণে উল্লেখ করেন থেরেসা। দাবি করেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে শুরু হওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একমাত্র তারাই দেশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার নিশ্চয়তা দিতে পারে। থেরেসা মে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিট আলোচনায় এই সরকার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছা পূরণ করা হবে। ব্রেক্সিট-বিরোধী আসনগুলোতে ভোটাররা কনজারভেটিভদের তুলনায় লেবার পার্টির এমপিদের ভোট দিয়েছেন। যা এই ইস্যুতে জনগণের অবস্থান নমনীয় হওয়ার সাক্ষ্য দিচ্ছে। নির্বাচনের ফলকে তাই ব্রেক্সিট ম্যান্ডেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নির্বাচনে থেরেসার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন হারানোর পর শীর্ষ কনজারভেটিভ নেতৃত্ব মনে করছে, সফল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মে ব্যর্থ হতে পারেন। ওয়েবসাইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পার্লামেন্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ