Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোজাদারকে লোভ-লালসা বিদ্বেষ পরিহার করে আত্মা কলুষমুক্ত করতে হবে- ছারছীনার পীর ছাহেব

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, অসংখ্য রহমত, বরকত ,ক্ষমা ও নাজাতে ভরপুর পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে প্রত্যেক রোজা পালনকারীকে জাগতিক সকল লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, আত্মাভিমান, বড়ত্ব, অহংকার প্রভৃতি আখলাকে রাজীলাহ পরিহার করে সবর ও সংযমের মাধ্যমে আত্মাকে পরিশুদ্ধ ও কলুষমুক্ত করতে হবে। কেননা স্থুল দেহের উন্নতির চেয়ে সুক্ষ আত্মার উন্নতির উপরই মানুষের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে। আর রুহের উন্নতি না হলে মানব জীবন মূল্যহীন। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের উপরের চেয়ে ভেতরের অবয়বকেই বেশী পছন্দ করেন। তাই আমরা যদি রোজার মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে পারি তাহলে আমাদের রোজা প্রকৃত রোজা হিসেবে মহানা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। আর এর মাধ্যমে আমরা পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভ করতে পারব এবং তাঁর দীদার পেয়ে আমরা রাইয়্যান দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব ইনশাআল্লাহ। গত বুধবার ঢাকাস্থ বনানী খানকায়ে নেছারিয়া ছালেহীয়ায় আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। পীর ছাহেব কেবলা সম্পদশালীদের তাদের সম্পদের যাকাত হিসেব করে যাকাত প্রাপ্তদের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছে দিয়ে মহান আল্লাহর আরেকটি ফরজ বিধান পালনের প্রতি জোর তাকীদ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর অতিরিক্ত নাজেমে আলা অধ্যক্ষ মাওলানা আলী আকবর এর পরিচালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন বর্তমানে হক্কানী আলেমের খুবই অভাব। হক্কানী আলেম তৈরির জন্য ছারছীনার হযরত পীর ছাহেব কেবলা বড় ভূমিকা রাখছেন। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। ইসলামে মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি, উগ্রতা এসব ঘৃনিত বিষয়ের কোন স্থান নেই। দেশে যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এর সাথে দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। এর সাথে যারা জড়িত তারা মাদরাসার শিক্ষিত কেউ নয়। তিনি বলেন ছারছীনা একটি হক্কানী দরবার। এ দরবারের পীর ছাহেব দেশ, জাতি ও ইসলামের খেদমতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই ভালো কাজে দেশ জাতির উন্নয়নের এই মহৎ কাজে তাকে সাধুবাদ জানাই। ইফতার মাহফিলে আসতে পেরে তিনি নিজেকে খুব ধণ্য মনে করেন এবং পীর ছাহেব হুজুরের কাছে নিজের জন্য, সরকারের জন্য এবং দেশের জন্য দোয়া কামনা করেন।
ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শামসুল হক টুকু (এমপি), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা বজলুল হক হারুন (এমপি), সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব আ. খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন (এমপি), তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস (এমপি), রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজ আহমেদ মজুমদার, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম. এম. এনামুল হক, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এম. এম. বাহাউদ্দীন, মসজিদে গাউসুল আজমের খতিব মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় সাহেবজাদা আলহাজ¦ মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দিন আহমদ হুসাইন, ছোট সাহেবজাদা আলহাজ¦ শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ প্রমুখ
পীর ছাহেব কেবলা ইফতার মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের তাওবা-ইস্তেগফার করিয়ে গুনাহ বর্জন ও হালাল খাবার গ্রহণের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সবশেষে পীর ছাহেব কেবলা দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছারছীনার পীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ