Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানুষকে আমলবিমুখ রাখতে নিত্যনতুন ফন্দি আঁটছে একদল লোক

ছারছীনার পীর ছাহেব

ঝালকাঠী থেকে মোঃ আবদুর রহমান : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- আমরা মুসলমান জাতি। একসময় এই মুসলিম জাতিই সমগ্র বিশ্বকে শাসন করেছিল। অথচ এই বীরের জাতি আজ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ মুসলমানদের ঈমান রক্ষা করা হাতের মধ্যে জ্বলন্ত আগুন রাখর মত কঠিন। কিন্তু কেন কঠিন? তার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে আমাদের মধ্যে দুনিয়ার প্রতি মোহ দিন দিন বেড়েই চলছে। শেষ জামানার মানুষ নামমাত্র মুসলমান থাকবে, তারা কোরআন, সুন্নাহ ও ইসলামের কোন বিধি-নিষেধ মান্য করবে না। মসজিদেও আর কোন ভাল উপদেশ দেয়া হবে না। বাতিল আক্বীদার খপ্পড়ে পড়ে মুসলমানগণ দিন দিন পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ বর্তমানে একদল লোক দ্বীন-ইসলামকে খুব সহজেই বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা দিন দিন মানুষকে আমল থেকে দূরে ও নিষ্ক্রিয় রাখতে নিত্য নতুন নতুন ফন্দি আঁকছে। তাদের থেকে সাবধান হতে হবে।
তিনি আরও বলেন- মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের স্থান হলেও শেষ জামানায় মসজিদে মু’মিনদের আনাগোনা থাকবে না, সেখানে উপদেশ দেয়া হবে না। মসজিদকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হবে কিন্তু তাতে কেউ নামাজ আদায় করবে না। সুতরাং আমাদের এথেকে পরিত্রাণ লাভ করতে হবে।
হযরত পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- আজ আমাদের সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা কোন পথে চলে, তাদের বন্ধু কারা। বিভিন্ন স্থানে শোনা যায় সন্তান বিপথগামী হয়ে গেছে ইত্যাদি । এর একমাত্র কারণ সন্তানকে দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষার অভাব। তাই সন্তানদেরকে সঠিকপথে পরিচালিত করতে হলে দ্বিনীয়া মাদ্রাসার বিকল্প নাই।
গতকাল শুক্রবার ঝালকাঠী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে হযরত পীর ছাহেব কেবলা প্রধান অতিথির আলোচনায় একথা বলেন।
ঝালকাঠী জেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবল্লাহর সিনিয়ির নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর ও বরিশাল জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মির্জা নূরুর রহমান বেগ, হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট ছাহেবজাদা আলহজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাও: রুহুল আমিন আফসারী, মাও: মোহেব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রমূখ।



 

Show all comments
  • hassan ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:১২ পিএম says : 0
    আমাদের দেশে আমরা দাবি করি যে 92 পার্সেন্ট মুসলিম বসবাস করে অথচ আমাদের দেশে সরকার আল্লাহর আইন দিয়ে শেষ দেশ শাসন করে না করে কাফেরের আইন দিয়ে এটা অবাক কান্ড আর এই জন্যই আমাদের দেশকে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে অবশ্য বলা যায় দেশটা ধ্বংস হয়ে গেছে সবদিক থেকে মানুষের চরিত্র বলতে কিছু নাই দেশে কল-কারখানা মিল ফ্যাক্টরি সরকার বানায় না বিদেশ থেকে সবকিছু আমদানি করে নিয়ে আসে আর এইভাবে বিদেশে টাকা পাচার করে সরকার মানুষকে গুম করে খুন করে ঠান্ডা মাথায় মিথ্যা কেস দিয়ে লক্ষ লক্ষ লোক কে ধ্বংস করে দিয়েছে রিমান্ডের নামে পয়সা ইনকাম করে এবং তাদেরকে এমন ভাবে মারা হয় তাতে মারা যায় অথবা পঙ্গু হয়ে যায়
    Total Reply(0) Reply
  • Abdun Nur Mubin ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৫১ পিএম says : 0
    আল্লঅহ হক্কানী আলেমদের সাথী হবার তাওফিক দান করুক। ছারছীনা দরবার শরীফ জিন্দাবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Alis Ahmed ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৬ এএম says : 0
    শয়তানের প্রধান কাজই হলো মানুষের অন্তরে নানা ধরনের কুমন্ত্রণা ঢেলে দেওয়া। শয়তানের কুমন্ত্রণা মানুষকে নেক আমল হতে উদাসীন করে রাখে।
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Kibria ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৬ এএম says : 0
    এ জন্য সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকতে হবে। যারা আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ হয় শয়তান তাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেওয়ার সুযোগ পায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Pasha Jafree ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৬ এএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য এক শয়তান নিয়োজিত করে দিই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।’ (সুরা যুখরুফ : ৩৬-৩৭)
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৭ এএম says : 0
    অসৎ সঙ্গীর প্রভাবেও নেক আমলে অনীহা সৃষ্টি হয়। অসৎ সঙ্গী নেক আমলের পথে বড় প্রতিবন্ধক। তাই সৎ লোকদের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো’ (সুরা তাওবা : ১১৯)।
    Total Reply(0) Reply
  • Umme Habiba ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৭ এএম says : 0
    মানুষ পরিবেশের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। অনেককে দেখা যায়, ভালো কোনো পরিবেশে থাকলে নেক আমলের ব্যাপারে বেশ ভালো আগ্রহ থাকে। কিন্তু খারাপ পরিবেশে সে আগ্রহ একদম থাকে না। তাই পরিবেশ পরিবর্তনের চেষ্টা করা। সফল না হলে অন্যত্র অনুকূল পরিবেশে চলে যাওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali Azgor ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৭ এএম says : 0
    ইবাদতে অনাগ্রহের প্রধান কারণ তাকওয়ার অভাব। যার অন্তরে তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয় আছে সে নেক আমলে অনীহা প্রদর্শন করতে পারে না। তাকওয়া মানুষের অন্তরে আল্লাহর কাছে জবাবদিহির ভয় সৃষ্টি করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:১৮ এএম says : 0
    সমাজে কিছু অসৎ লোক আছে, যারা কাউকে নেক আমল করতে দেখলেই সমালোচনা শুরু করে। অনেক ভীতু লোক সমালোচনার ভয়ে নেক আমলের ব্যাপারে অনীহা প্রদর্শন করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Bayzid ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:২৩ পিএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা হুজুরকে নেক হায়াত দান করুক আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছারছীনার পীর ছাহেব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ