পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা দরবারের পীর আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ধর্ম শিক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষার বাইরে রাখার পায়তারা চলছে। যা দেশের আগামী প্রজন্মকে ধর্মহীন করার অপচেষ্টা মাত্র। তাই আমাদের কঠোর হাতে এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখবেন শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে ইসলামী কৃষ্টি সভ্যতার পরিপন্থী কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগিদে দ্বীনিয়া মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল বাদ জোহর তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের আখেরি মুনাজাতের পূর্বে হযরত পীর ছাহেব একথা বলেন। পীর ছাহেব বলেন, অনেকে মুরীদ হয় কিন্তু আমল করেনা। পরকালে নাজাত লাভের জন্য মুরীদ হওয়াই যথেষ্ট নয়। আমলের মাধ্যমেই নাজাত লাভ করা সম্ভব।
পীর ছাহেব আরও বলেন, এই দরবারে কোন বেদআতের স্থান নেই। অতীতেও এখানে বেদআতের কোন স্থান ছিলো না, ভবিষ্যতেও হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ হায়াতে রাখলে দীর্ঘ ৮ মাস পর আগামী অগ্রহায়ণের মাহফিলে পুনরায় দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে সকলকে নিয়মিত তরীকা মশক করার পরামর্শের পাশাপাশি তালিমী জলসায় যোগদান করে আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার নির্দেশ দেন। বিশেষ করে আগামী মাহে রমজানে ইফতার মাহফিল কায়েমের মাধ্যমে ছেলছেলার প্রচার, সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের খেদমতের আহ্বান জানান।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলের শেষ দিন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও পীর ছাহেবের বড় ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, নায়েবে আমীর ও পীর ছাহেবের ছোট ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মো. ছালেহ নেছারুল্লাহ, মরহুম পীর ছাহেবের সফরসঙ্গী মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা, নাযেমে আলা ড. মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ শরাফত আলী, তালীমে তরীকত সম্পাদক মাওলানা মো. রূহুল আমিন ছালেহী, দফতর সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো. বোরহান উদ্দীন ছালেহী প্রমূখ।
গতকাল বাদ জোহর কুরআন তেলাওয়াত, মিলাদ-ক্বীয়াম পাঠের পর তওবা পড়িয়ে বাইয়াত করানো হয়। এরপর বেলা ৩টায় আখেরি মুনাজাত শুরু হয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ব্যাপী মুনাজাত চলে। এসময় উপস্থিত মুসল্লিদের কান্নার রোলে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন, পৌর মেয়র জি এম কবির প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।