পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের মসুলের গ্র্যান্ড নুরি মসজিদের চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আইএস। স্থানীয়রা জানান, মসুলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। গত বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেক আইএস এই মসজিদের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে ২০১৪ সালে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি খিলাফত ঘোষণা করেছিলেন। সেবছর থেকে এখনও মসজিদে আইএসের কালো পতাকা উড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি সরকারের পরামর্শক হিশাম আল হাশি বলেন, আইএস সদস্যরা জানে যে মসজিদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। এজন্য এখানেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। এই শহর হারালে স্বঘোষিত খিলাফতের অর্ধেকই হারিয়ে বসবে তারা। মসুলে এখনও ২ লাখ বেসামরিক বসবাস করে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার বা বিশুদ্ধা পানি নেই। মসুলের গ্র্যান্ড নুরি মসজিদ সবসময় ইরাকি বাহিনী লক্ষ্য ছিল। রমজানেই এটি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু মসজিদের কাছে লড়াইয়ে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে। মসুলে আটমাস ধরে যুদ্ধ চলছে। আইএস সদস্যরা বেসামরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় এই যুদ্ধ কঠিন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করে ইরাকি বাহিনী। বিগত কয়েকদিনে অনেক পরিবারকে জানজিল জেলায় যেতে বাধ্য করেছে আইএস। তাদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতেই্ এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। সরকারি বাহিনী আকাশ থেকে লিফলেট ফেলছে যেন পরিবারগুলো পালিয়ে যায়। কিন্তু আইএসের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে সিরিয়ায় মার্কিন জোটের বিামান হামলায় রাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছে আইএস। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।