ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাগলনাইয়ায় বখাটেদের  নির্মম হামলার শিকার কলেজ ছাত্রী খোদেজা আক্তারের পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গতকাল ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খোদেজা আক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার পা ভেঙে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে এ হামলার ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হচ্ছে পূর্ব দেবপুর গ্রামের মীর হোসেনের পুত্র নাজিম উদ্দিন, বাচ্চু মিয়ার পুত্র শরিফ উদ্দিন ও মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র খুরশিদ আলম।  মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা পূর্ব দেবপুর গ্রামের নুর ইসলাম আজমের কন্যা, আলহাজ¦ আবদুল হক চৌধুরী বিশ^বিদ্যালয় কলেজের বিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্রীকে খোদেজা আক্তারকে (২৪) দীর্ঘদিন যাবত একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বখাটে পুত্র রিপুল (২৮) কলেজে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। কলেজ ছাত্রীর পিতা আজম সম্প্রতি ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করে সামাজিক ভাবে বিচার চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিপুল তার সহযোগী নাজিম উদ্দিন (৩০) শরিফ (২২) ও রকিব (২০) সহ একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে আজমের বাড়ীতে গিয়ে তার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘরে হামলা ও লুটপাট করে। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে গত শুক্রবার সকালে ছাগলনাইয়া থানায় রিপুল, নাজিম ও রকিবসহ  ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে সে ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চায়। মামলা দায়ের করে সিএনজি যোগে বাড়ী ফেরার পথে থানা গেইটের সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ঔতপেতে থাকা রিপুলের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দিবালোকে তাদের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে আজমের মাথা ফাটিয়ে দেয় ও ঐ ছাত্রীর পা ভেঙ্গে দেয়। এঘটনায় খোদেজা আক্তার পিতা নুর ইসলাম আজম বাদী হয়ে শ্লীলতাহানী হামলা ও মারধরের অভিযোগে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাকী আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ছাগলনাইয়া থানার ওসি আবু জাফর মো: ছালেহ জানান, কলেজ ছাত্রী ও তার পিতার উপর হামলাকারী ৩জন আসামীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি বাকীদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।