পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোট হচ্ছে আজ। গত ২৩ এপ্রিল দেশটিতে প্রথম দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১ জন প্রার্থীর কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় আজ দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মধ্যপন্থী তরুণ রাজনীতিক ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ডানপন্থী রাজনীতিক মারিন লা পেন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে টেলিভিশনে হয়ে গেছে দু’জনের মুখোমুখি শেষ বিতর্ক। দু’ঘন্টার বিতর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুজনেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। লা পেন কথায় কথায় ম্যাক্রোঁর দিকে বাণ ছুঁড়ছিলেন। আর ম্যাক্রোঁও পাল্টা আক্রমণে সেগুলো প্রতিহত করছিলেন এবং যথাযথ জবাবও দিচ্ছিলেন। লা পেন যখন বলেন, মুসলিম অভিবাসীদের ঠেকানো নিয়ে তো আপনার কোনো পরিকল্পনাই নেই, ম্যাক্রোঁ তখন বলেন, আপনার কথা মতো চললে তো আমাদের একটা গৃহযুদ্ধের দিকে যেতে হবে।
সে যাই হোক, শেষ মুহূর্তে হিসেব অনেক কিছুই পাল্টে যেতে পারে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া আগের বাকি ৯ দলের কে এখন কাকে সমর্থন দেয় তার উপরই নির্ভর করে বাকি ফলাফল।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ফ্রান্সে সাইবার অ্যাটাকেরও খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার একজন হ্যাকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনের মতো ফ্রান্সের নির্বাচনেও ভূয়া খবর প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে ফ্রান্সের এই নির্বাচনে লা পেনকে সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর ম্যাক্রোঁকে সমর্থন জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোটের আগে মধ্যপন্থী নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁঁ প্রায় সব দিক দিয়েই তার প্রতিদ্ব›দ্বদ্বীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে হওয়া সর্বশেষ চার জনমত জরিপেই তিনি এগিয়ে রয়েছেন। এ চার জরিপের তথ্যমতে, দ্বিতীয় দফায় ৬২ শতাংশ ভোটারের ম্যক্রোঁর পক্ষে রায় দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বিপরীতে লা পেনকে বেছে নিতে পারেন ৩৮ শতাংশ ভোটার। মূলত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অনুষ্ঠিত শেষ বিতর্কের মধ্য দিয়েই ম্যক্রোঁ নির্বাচনে জয়ের পথকে আরো বিস্তৃৃত করেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোডজে প্রচারণা চালানোর সময় গতকাল ইমানুয়েল ম্যক্রেঁ বলেন, নির্বাচিত হলে কে আমার প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে বিষয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো নাম উলেখ না করেই তিনি বলেন, আমি যে নবউদ্দীপনার কথা বলছি, তিনি হবেন তারই ধারক। মেয়াদের প্রথম বছরের মধ্যেই আমি ফ্রান্সের জাতীয় সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। তবে বড় শহরগুলোতে ৭ টা পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে। রাত ৯টার মধ্যেই টেলিভিশনগুলো থেকে প্রাথমিক ফলাফলের খবর জানা যাবে। তবে ভোট গণনার কিছু সময় পরেই রাতের প্রথম দিকেই সরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আর নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন পরেই ক্ষমতায় বসবেন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট। কে হবেন তিনি সেদিকেই তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।