Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ উড়ল আকাশে

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুই জায়ান্ট বোয়িং ও এয়ারবাসের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে দেখছে বেইজিং
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ আকাশে উড়েছে। এ উড়োজাহাজের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত মাইলফলক অর্জনের আশা করছে চীন। এ উড়োজাহাজকে আন্তর্জাতিক বাজারের দুই জায়ান্ট বোয়িং ও এয়ারবাসের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে দেখছে বেইজিং। উড়োজাহাজটির মালিকানা রাষ্ট্রায়ত্ত কোমাক কোম্পানির। ২০০৮ সাল থেকেই এটি আকাশে উড়ানোর পরিকল্পনা চলছিল। কিন্তু নানা কারণে বারবার পেছানো হয়েছে। সি৯১৯ মডেলের উড়োজাহাজটিকে মার্কিন বোয়িং ৭৩৭ ও ফরাসি এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবেই বানানো হয়েছে। একক করিডরের এ উড়োজাহাজে আছে দুটি ইঞ্জিন। যাত্রী ধারণক্ষমতা ১৮৬ জন। একটানা উড়তে পারবে ৪ হাজার ৭৫ থেকে ৫ হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার। চীনা গণমাধ্যমের দেয়া তথ্যমতে, উড়োজাহাজটি নির্মাণে খরচ পড়েছে প্রায় ৫ কোটি ডলার, যা বোয়িং ৭৩৭ ও এয়ারবাস এ৩২০ নির্মাণ খরচের অর্ধেক। অবশ্য উড়োজাহাজটি সম্পূর্ণ চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি নয়। এর অনেক অংশই বাইরে থেকে আমদানি করা। এর মধ্যে ইঞ্জিন আনা হয়েছে ফ্রান্স-মার্কিন কোম্পানি সিএফএম ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে। এরই মধ্যে ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৫০০টিরও বেশি উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ পেয়েছে কোমাক। অবশ্য বেশির ভাগই চীনা কোম্পানি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ দিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ চীনের সি৯১৯ উড়োজাহাজকে সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে আগামী ২০ বছরে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বাজার ২ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় তাহলে সি৯১৯ চীনের সর্বশেষ যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। এরই মধ্যে রোবাটিক্স, কম্পিউটার চিপস, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং নবায়নযোগ্য শক্তিসহ সব ক্ষেত্রে উন্নত শিল্প সক্ষমতা রয়েছে দেশটির। তবে চীনের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা টিল গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড আবুলাফিয়া বলেন, বড় সব চ্যালেঞ্জগুলো এখন তাদের মোকাবেলা করতে হবেÑ গেøাবাল সাপোর্ট নেটওয়ার্ক, অর্থায়ন প্রভৃতি। চীনা সরকারের মেড ইন চায়না ২০২৫ উদ্যোগের একটি অংশ সি৯১৯ প্রকল্পটি। ২০১৫ সালে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিদেশী পণ্যের স্থানে দেশীয় পণ্য উত্পাদন করা এবং সেগুলো রফতানি করা এ পরিকল্পনার অংশ। ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ