বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : দোকান বাকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামের নিরীহ আবুল কালামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, পরিবারের সদস্যদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দোকান বাকির চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশকুড়ি গ্রামের আবুল কালামের বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়েছে পাশের বাড়ির রাজ্জাকের বাড়ির লোকজন। হামলাকারিরা বাড়ির বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করে আতঙ্ক ছড়িয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা কালাম, তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন, প্রতিবন্ধী ছেলে আবু সাঈদকে বেদম মারধর করে ও নগদঅর্থ লুট করে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হন আবুল কালাম। স্থানীয়রা আহত কালামকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় আবুল কালামের ছেলে নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াজি উল্লাহ, আক্তার আলী, আলম ও ফারুকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেয়ায় ওই পরিবারটি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
আবুল কালাম বলেন, দোকানের বাকির টাকা চাওয়ার তর্কাতর্কির পর আসামিরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, পরিবারের সদস্যদের মারধর ও লুটপাট করে।
হাটহাজারী ফতেপুর-মাদার্শা তেজারিপুল ২৭ বছরেও ব্রিজে পরিণত হয়নি
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে : উপজেলার ফতেপুর ও উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের উপর মধুরঘোনা এলাকায় চলাচলের একমাত্র তেজারিপুল (তর্জারপুল) সেই এরশাদ সরকার থেকে বর্তমান মহাজোট সরকারের ক্ষমতাসীন দলের সাবেক মন্ত্রী এমপিরা বার বার ব্রিজ করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসলেও দীর্ঘ ২২ বছর পর্যন্ত ওই এলাকার দুই ইউনিয়নের জনগণ ব্রিজটির মুখ দেখেনি। এতে করে ফতেপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছোট ছোট স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থীরা পাশের ইউনিয়ন দক্ষিণ মেখল উচ্চ বিদ্যালয় ও মার্দাশা মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তেজারিপুলটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে প্রতিদিন। এছাড়া দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দুই ইউনিয়নের জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সদর থেকে ফতেপুর আলাওল সড়ক দিয়ে উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের জনগণ ডি.সি সড়ক দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারে, কিন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই ইউনিয়নের মাঝখানে মার্দাশা ৪নং ওয়ার্ডের মধুরঘোনা এলাকার তেৎারিপুল (তর্জারপুল)টি। জানা যায়, সেই পাকিস্তান আমল থেকে বাঁশের তর্জা দিয়ে ওই এলাকায় একটি পুল তৈরি করে দুই পাড়ের মানুষ সহজে চলাচল করার জন্য। এর পর থেকে এই পুলের নাম হয়ে পড়ে তেৎারিপুল (তর্জারপুল)। জানা যায়, মধুরঘোনা এলাকার দুই পাড়ের জনগণ ব্রিজটি হলে সহজেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই হাটহাজারী সদরের বাজার সহ বিভিন্নস্থানে বিক্রি করতে পারবে। এবং সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে কিন্তু বর্তমান তেজারিপুলটি একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যা দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও মুশকিল। উত্তর মার্দাশা ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের এলাকার বাসিন্দাদের যদি কেউ মারাত্মক রোগ অথবা কোন মহিলার ডেলিভারি রোগী যদি উপজেলা সদরে অথবা শহরের কোন হাসপাতালে নিতে হয় তাহলে ওই ঝুঁকিপূর্ণ তেজারিপুল পার করাতে করাতে রোগী নির্গাত মারা যেতে পারে।
এলাকাবাসী বলেন দাদা ও বড়দের কাছে শুনে আসছি সেই এরশাদ সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ও বর্তমানের সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যরিস্ট্রার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বার বার তর্জারপুলকে ব্রিজ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দুই ইউনিয়নের জনগণকে দিয়ে আসলেও এ পর্যন্ত ব্রিজটির মুখ দেখেনি। বরং তেজারিপুলের দুই পাড়ের জনগনের টাকাও ওই সড়কে চলাচলরত সিএনজি টেক্সির ড্রাইবাররা মিলে তর্জারপুলটি সংস্কার করে। এখানেও সরকারের বা স্থানিয় সরকারের কোন সহযোগিতা নেই।এ পর্যন্ত যত সরকার ছিল সব সরকারের বড় বড় নেতারা আমাদেরকে তেজারিপুল(তর্জারপুল)কে ব্রিজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আশ্বাসে রেখেছে। এমনকি বর্তমান এমপিও সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানরা নির্বাচনের সময় বার বার ব্রিজ করেদেবে বলে আমাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করে নেয়। এর পর আর ব্রিজ করার কোন কথা মনে রাখে না।
পুলটির ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্ট্রার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ব্রিজটি করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিস্ট দেয়া হয়েছে। উত্তর মার্দাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জর হোসেন মাসুদ বলেন, মার্দাশা ও ফতেপুর ইউনিয়নের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি তেৎারিপুল (তর্জারপুল) আশাকরি ২০১৭ সালের মধ্যে ব্রিজ হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত এলজিডির কর্মকর্তারা আবারও মাটি পরিক্ষা করবে। তেৎারিপুল (তর্জারপুল) এর ব্যাপারে কথা হয়, হাটহাজারী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিডি) পি সি ভৌমিক তিনি বলেন,৭-৮ মাস আগে ও মাটি পরিক্ষা করে ঢাকা এলজিডি অফিসে পাঠানো হয়। জুনের মধ্যে ব্রিজটি ফাইনাল হয়ে দরপত্র প্রক্রিয়ার দিকে যাবে।
তাই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এ পুলকে ব্রিজ করার দাবি জানান দুই পাড়ের মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।