বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের চরমাদাখালী গ্রামের বৃদ্ধ ইউনুস মিয়ার বয়স প্রায় ৭০ ছুঁই ছুঁই। শৈশবেই মা-বাবাকে হারিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় ১৯৬০ সালে ধলা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় পান। তিনি এখনো তার ঠিকানা অথবা মা-বাবার কথা মনে করতে পারেননি। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ১৯৭২ সালে হযরত আলী নামে ধলা চরমাদাখালী গ্রামের এক ব্যাক্তি তাকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিলে সেখানে তিনি লালিত-পালিত হন। প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে ১৯৮৮/৮৯ সালে ত্রিশাল ভূমি অফিস থেকে ১ একর জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ শুরু করে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করে আসছিলেন ইউনুস মিয়া। তার ৬ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে তার সংসার জীবন মোটামুটি ভালোই চলছিল। ২০১৪ সালে ১ একর লিজকৃত জমি ভূমি অফিস তার নামে দলিল ও জমা খারিজ করে দেয়।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল মোঃ হাবিবুল্লাহ ও তার আপন ভাই জয়নুদ্দিন ঐ জমি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করে এবং ঠিকানাহীন বৃদ্ধ ইউনুস মিয়া ও তার পরিবারের উপর শুরু করে নির্মম নির্যাতন। গত ২ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোঃ হাবিবুল্লাহ ও জয়নুদ্দিনসহ প্রায় ১০ জন মিলে ইউনুস মিয়া ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর হামলা করে। ইউনুস মিয়াকে বেদম মারপিট করে, বড় মেয়ে নাছিমা খাতুন (২৩)কে মারধর করে শরীরে শুকনো মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেয়, ছোট মেয়ে ফাহিমা খাতুন (১২)কে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে সন্ত্রাসী হাবিবুল্লাহ ও জয়নুদ্দিন। ইউনুস মিয়ার পালিত ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি গরু ও ১টি ছাগল লুট করে নেয় তারা। এসময় ইউনুস মিয়ার চিৎকার ও চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এলাকার লোকজন বৃদ্ধ ইউনুস মিয়া ও তার ২ মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ইউনুস মিয়া জানান, আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমার এবং আমার পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে সন্ত্রাসী হাবিবুল্লাহ ও জয়নুদ্দিন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আমি দ্রুত বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউনুস মিয়াকে সহজ-সরল পেয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী হাবিবুল্লাহ ও জয়নুদ্দিন অত্যাচার করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।