বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইউনিয়ন পরিয়দ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া কানিহারী ইউনিয়নের থাপনহালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তবে ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটাই স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ফলাফলকে আজব ফলাফল উল্লেখ করে এ ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি, সহিংসাসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ত্রিশাল উপজেলায় কানিহারী ইউনিয়নের থাপনহালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। গত ৩১ অক্টোবর স্থগিত কেন্দ্রের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন প্রতিদ্ব›িদ্ব স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আসার পথে বাধা প্রয়োগ, এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের উপর হামলা করে আহত করা হয়। ঐ দিন ভোট কেন্দ্রে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৭৪০ ভোটের মধ্যে মাত্র ৪শ’র কিছু বেশি ভোট পড়ে বলে ভোট শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু জুলহাস সাংবাদিকদের জানান। পরে রাতে উপজেলা পরিষদে ২৯২০ ভোট কাস্টিং দেখিয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান রতন জানান, মোট ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে আমি ২১৭৪ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। ব্যাপক গোলযোগের মধ্যে থাপন হালা কেন্দ্রে মাত্র ৪০০ ভোট কাস্ট হলেও আমাকে পরাজিত করার জন্যই ২৯২০ ভোট কাস্ট দেখিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ৪০০ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গনমাধ্যম কর্মীদের সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছে। কারচুপি করার জন্যই কেন্দ্রে ফলাফল না দিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া ফলাফল সিটে প্রিসাইডিং অফিসার ছাড়া আর কারোও সাক্ষর নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে প্রিসাইটিং অফিসার আবু জুলহাস কারচুপির বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমার সিদ্ধান্তে করা হয়নি। এটি অনেক উপরের সিদ্ধান্তে করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমার কিছু করার ছিল না।
রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার পালের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা প্রিসাইটিং অফিসার করতে পারে, তবে সে একা করেনি আরো জড়িত রয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনিও কষ্ট পেয়েছেন। এ জন্য তিনি দুই রাত ঘুমাতে পারেন নি। এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রিজাইটিং ও রির্টানিং অফিসার কাজ করেছে কিন্তু দায়টা পরেছে আমার উপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।