পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ডেভিড ক্যামেরন দৃঢ় আশা প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহতভাবে বিকশিত হবে। দু’দেশের মধ্যে বিকাশমান সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং এ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম জানান, শেখ হাসিনা ও ডেভিড ক্যামেরনের বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্গো বিমান সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা ইস্যু সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ক্যামেরন আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের উপর থেকে কার্গো বিমানের নিষেধাজ্ঞা সমস্যা শিগগির সমাধান হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্যামেরন বলেন, ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশে আসছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, পরিকল্পনা ও উদ্যোক্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিরাট অবদান রয়েছে।
ক্যামেরন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের দ্রæত উন্নয়নে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে তার দলের প্রণীত নীতিমালা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করছে। তিনি কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন ও ডিজিটালাইজেশনে সরকারের অসামান্য সাফল্যের উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আরো শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে এবং এসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজ চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারে সরকার গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা দেশব্যাপী রেল নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ করছি এবং দক্ষিণ অঞ্চলে রেললাইন নির্মাণে আমরা ব্রিটিশ কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছি।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মিয়ানমারের ৪ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেয়া অত্যন্ত কঠিন। মিয়ানমার যদি তাদের নাগরিকদের এখান থেকে ফিরিয়ে নেয় সেটিই হবে সবচেয়ে উত্তম। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সংযোগস্থাপন জোরদারের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তিনি বিবিআইএন এবং বিসিআইএম-ইসি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøইক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।