মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিটের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আজ বুধবারই দায়িত্ব ছাড়ছেন। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন। লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর টেরেসাই প্রথম নারী, যিনি যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধানের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা নির্বাচন এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে জ্বালানিমন্ত্রী আন্ড্রে লিডসম গত সোমবার হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয় টেরেসা মের। কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সদস্যের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল এই দুই নারীর। এ নির্বাচনের ফল প্রকাশের কথা ছিল ৯ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তার আগেই গত সোমবার লিডসম সরে দাঁড়ান। যুক্তরাজ্যে গত ২৩ জুনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে দেশটির বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষ জয়ী হওয়ার পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন। তিনি ইইউয়ে যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, লিডসম ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সফল প্রচার চালিয়ে জনগণের কাছে পরিচিতি পান। কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে লিডসম বলেন, একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সরকার পরিচালনার জন্য তার পক্ষে যথে সমর্থন আছে বলে তিনি মনে করেন না। তার সরে দাঁড়ানোর পর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের বক্তব্যে ক্যামেরন বলেন, লিডসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করেছেন। টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেখে তিনি আনন্দিত। ক্ষমতা হস্তান্তরে বেশি সময় লাগানোর দরকার নেই জানিয়ে ক্যামেরন বলেন, একারণে গতকাল মঙ্গলবারই তিনি মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক করেন। তারপর আজ বুধবার হাউজ অব কমন্সে পধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্নত্তোর পর্বে হাজিরা শেষে রাজপ্রাসাদে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ফলে আজ সন্ধ্যায়ই যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী পাছে বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৫৯ বছর বয়সী টেরেসা মে-কে প্রধানমন্ত্রী পদে একজন বলিষ্ঠ এবং দক্ষ নেতা হিসাবে প্রশংসা করেন ক্যামেরন। যুক্তরাজ্যের আগামী দিনগুলোতে যে নেতৃত্ব প্রয়োজন তা অনেক ভালোভাবেই টেরেসা চালিয়ে নিতে পারবেন বলে আস্থা প্রকাশ করেন ক্যামেরন।
টেরেসা মের প্রধানমন্ত্রী হওয়া মানে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ভার এমন একজনের হাতে পড়ছে যিনি গণভোটে ইইউ ছাড়ার বিপক্ষে ছিলেন। তবে মে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করবেন। গত সোমবার সকালের দিকে বার্মিংহামে এক বক্তব্যে টেরেসা মে বলেন, ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকার প্রশ্নে দ্বিতীয় আর কোনও গণভোট হবে না কিংবা পেছনের দরজা দিয়ে আবার ইইউয়ে যোগ দেওয়ার কোনও প্রচোও নেওয়া হবে না। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।