নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চতুর্থ দিন শেষে জ্যামাইকা টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছে পাকিস্তান। এজন্য সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ প্রাপ্তির দাবিদার মিসবাহ-উল-হক ও ইয়াসির শাহ। সঙ্গীর অভাবে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মিসবাহ। পরে ইয়াসির ঘূর্ণিতে ৯৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চারটিই ইয়াসিরের শিকার। পাকিস্তানকে আবার ব্যাটে পাঠাতে এখনো ২৮ রান করতে হবে উইন্ডিজকে।
কিংস্টনে মিসবাহ নাটকটা জমেছিল বেশ। দেবেন্দ্র বিশুর করা ইনিংসের ১৩৮তম ওভারের প্রথম ৫ বল ভালোমতই মোবাকেলা করেন মিসবাহ। শেষ বল অফ সাইডে ঠেলে দিয়েই দৌড়। লক্ষ্য সিঙ্গেল নয়, তিন রান। সেক্ষেত্রে নিজের শতকটাও হয়ে যায়, পরের ওভারে স্ট্রাইকটাও বজায় থাকে। কিন্তু নেয়া গেল দুই! তার মানে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ৯৯ রানে অপরাজিত পাক অধিনায়ক। স্ট্রাইক প্রান্তে এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ আব্বাস। রস্টন চেইসের প্রথম তিন বল কোনমতে ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু চতুর্থ বলে এসে পড়ে যান এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। সাথে সাথে রিভিউ। কিন্তু তাতে কোন কাজ হল না। প্রথম পাকিস্তানি ও সব মিলে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকলেন মিসবাহ। মিসবার মুখে অবশ্য সেঞ্চুরি মিসের হতাশাটা ধরা পড়ল না। একটু মুচকি হাসলেন মাত্র। দলের সংগ্রহ তখন ৪০৭, লিড ১২১ রানের।
তবুও আব্বাসকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। শেষ উইকেট ৩৪ রানের জুটিতে তার অবদান ১ হলেও মিসবাহকে সঙ্গ তো দেন। মিসবাহ সবচেয়ে ভালো সঙ্গটা পান ষষ্ঠ উইকেটে সরফরাজ আহমেদের কাছ থেকে। ফেরার আগে ৫৪ রান করেন সরফরাজ। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও আলজারি জোসেপ নেন ৩টি করে উইকেট।
চা বিরতির পর ব্যাটে নেমে বোলিংয়ে ইয়াসির আসার আগ পর্যন্ত ভালোই লড়ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই কার্লোস ব্রেথওয়েটকে বোল্ড করে দেন ইয়াসির। পরের প্রতিরোধটি ভাঙতে অবশ্য আরো দশ ওভার অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপর ১৯ রানের ব্যবধানে সেই ইয়ারিই ফেরান একে একে কিরণ পাওয়েল, শিমরন হেটমায়ার ও শাই হোপকে। তিন বছর পর দলে ফিরে প্রথম ইনিংসে ৩৩ এর পর এবার ৪৯ রান করে আউট হন পাওয়েল। ইয়াসির যেভাবে জ্বলে উঠেছেন তাতে ম্যাচ বাঁচাতে শেষ দিনে বিশেষ কিছুই করে দেখাতে হবে ক্যারিবিয়দের। ৪ উইকেট নিতে ৯ ওভারে মাত্র ৩৩ রান খরচ হয় ইয়াসিরের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৮৬ ও ২৮ ওভারে ৯৩/৪ (ব্রেথওয়েট ১৪, পাওয়েল ৪৯, হেটমায়ার ২০, হোপ ০, বিশু ০*, ভিশাল ০*; আমির ০/১১, আব্বাস ০/২১, ইয়াসির ৪/৩৩, ওয়াহাব ০/২৪)। পাকিস্তান : ১৩৮.৪ ওভারে ৪০৭ (আজহার ১৫, শেহজাদ ৩১, বাবর ৭২, ইউনুস ৫৮, মিসবাহ ৯৯*, শফিক ২২, সরফরাজ ৫৪, আমির ১১, ওয়াহাব ৯, ইয়াসির ৮, আব্বাস ১; গ্যাব্রিয়েল ৩/৯২, জোসেফ ৩/৭২, হোল্ডার ১/৬৫, বিশু ১/১০৬, চেইস ১/৩৭, ব্রেথওয়েট ০/২২)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।