Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন কোচে খুলনা-রাজশাহী রুটে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : নতুন কোচে খুলনা-রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ‘সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের গতকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে বিকেল তিনটায় ৯৬৬টি আসন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
উদ্বোধনকালে মন্ত্রী সারাদেশে রেলের বিভিন্ন চলমান প্রকল্পের বর্ণনা দিয়ে বলেন, এ সকল প্রকল্পসমূহের শতভাগ কাজ শেষ হলে রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর মাসে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। তিনিই রেল খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। বর্তমান অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। অথচ পূর্বে বরাদ্দ ছিল মাত্র পাঁচ শ’ কোটি টাকা। খুলনার উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই খুলনায় আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আগামী নভেম্বর মাসেই উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, শীঘ্রই খুলনা থেকে যশোর পর্যন্ত ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং নতুন রেললাইন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।
উদ্বোধনকৃত সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসে রয়েছে ৪৮টি এসি সিট ও ৭৮টি এসি চেয়ার। এ ছাড়া রয়েছে ৮৪০টি নন এসি শোভন চেয়ার। এ কম্পোজিশনে রয়েছে ব্রেকভ্যান সংযুক্ত দু’টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার কার। রয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা বাথরুম ও টয়লেট; রয়েছে হাই কমোড ও ফ্লাট কমোড, ট্রেনটিতে ১২টি কোচ রয়েছে এবং সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে এলওসি চুক্তির আওতায় দেশে মোট ১২০টি সর্বাধুনিক এলএইচবি কোচ সংগ্রহ করা হয়। উল্লেখ্য, এ ট্রেনটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। পূর্বে এ ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ৬৩৫ জন। যার মধ্যে এসি সিট ছিল মাত্র ৯টি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. আবদুল্লাহ আরেফ এবং রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির। স্বাগত বক্তৃতা করেন রেলওয়ের পশ্চিম জোনের জেনারেল ম্যানেজার মো, খায়রুল আলম।
ঝিনাইদহে রেলমন্ত্রী
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশের সকল জেলা রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুরে নবনির্মিত হাই লেভেল প্লাটফরম উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত রেললাইন ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে। এতে রেল ভ্রমণে সময় কম লাগবে ও আরামদায়কও হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি জামায়াতের আমলে রেলের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সে সময় অনেক রেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে উন্নয়ন হয়। রেলওয়েতে আগে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা রেলের উন্নয়নে বরাদ্ধ করা হয়েছে। রেলের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। রেলওয়ের সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহেশপুর-কোটচাঁদপুর আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, কালীগঞ্জের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার। অনুষ্ঠানে রেলসচিব বলেন, যমুনা সেতু হয়ে আরও একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ