বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মো. মঈন উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় আইনজীবী এনেক্স ভবন-১ এর বেইজমেন্টে ৬১ নম্বর দোকানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার অভিযোগ ডিবি পুলিশ তার দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় পরে তাকে জাল স্ট্যাম্প দিয়ে আদালতে হাজির করে।
আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগকারীর আইনজীবী আমিন আহমেদ জানিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী, এসআই সেকান্দর আলী, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এএসআই মো. আবদুল ওয়াদুদ, কনস্টেবল মো. আরমান হোসেন, মো. খোরশেদ আলম ও উকিল আহম্মেদ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জাল স্ট্যাম্পের মামলা থেকে বাঁচতেই ওই ব্যক্তি ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দুই হাজার ‘জাল’ স্ট্যাম্পসহ মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
বাদির আইনজীবী আমিন আহমেদ বলেন, ‘দোকান থেকে মঈন উদ্দিনকে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ সদস্যরা তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না পারায় জাল স্ট্যাম্প রাখার মিথ্যা অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোতোয়ালী থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ওই মামলায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ হাইকোর্ট থেকে মঈন উদ্দিন জামিন পান বলে জানান আইনজীবী আমিন আহমেদ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জালস্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগ ছিল। তাকে আটকের সময় বিপুল পরিমাণ জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও স্ট্যাম্পগুলো জাল বলেই প্রমাণিত হয়েছে।
জাল স্ট্যাম্প রাখার মামলা থেকে মঈন উদ্দিন নানাভাবে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছিল জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে ঘটনার ছয় মাস পর আদালতে অভিযোগ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।