বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর লালখান বাজার বাগঘোনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। নিহত শরিফ (২৭) একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, এলাকায় টেম্পু শরিফ নামে পরিচিত। সে খুলশী থানাধীন লালখান বাজার বাগঘোনা এলাকায় হেলাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিল। এর জের ধরে শরীফের বিরুদ্ধের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টায় নিয়ে যাবার পর সেখানেই শরিফের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানায়, ওয়াসার মোড় থেকে তাকে তুলে নিয়ে কয়েকজন যুবক। এরপর বাগঘোনায় নিয়ে সবার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যুবলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ মে লালখান বাজার পোড়া কলোনি এলাকা থেকে মো. খোকন সরকার নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই বছরের ৪ জুন এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে টেম্পু শরীফসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই খুনের মামলায় শরীফ সম্প্রতি জামিনে কারাগার থেকে ছাড়া পায় শরিফ। ওই ঘটনার জের ধরে বাদিপক্ষের লোকজন এ ঘটিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে মো. শরীফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. হেলাল গতকাল একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাতেই চারজন গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো- ওয়াসিম উদ্দিন, মো. সোহেল, মাঈনুদ্দিন হানিফ ও মো. আরমান।
খুলশী থানার এসআই সাদেকা আফরোজা জানান, গ্রেফতার চারজনসহ মোট ১১ জনের নাম রয়েছে শরীফের বাবার মামলায়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে এজাহারে আসামি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।