Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুইমিংপুল বাঁচাতে আন্দোলন

| প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, হ্যান্ডবলের মতো অলিম্পিক গেমসভুক্ত সাঁতারও একটি জনপ্রিয় ইভেন্ট। এ ইভেন্টগুলো চর্চার জন্য যেমন মাঠের প্রয়োজন তেমনি সাঁতার চর্চার জন্যও সুইমিং পুলের প্রয়োজন। চট্টগ্রাম একটি বিভাগীয় শহর হওয়া সত্তে¡ও স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও এখানে একটি সুইমিং পুল হয়নি। তাই সিজেকেএ’র সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত সিজেকেএস’র নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গা আউটার স্টেডিয়ামের এক কোনায় নির্মিত হচ্ছে সুইমিং পুল। আউটার স্টেডিয়ামে এ সুইমিং পুল নির্মিত হওয়াকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ খেলার মাঠ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন। তাই সিজেকেএস সুইমিং পুল বাস্তবায়ন কমিটি গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। এখানে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর বলেছেন, ‘খেলার মাঠ ও সুইমিং পুল মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। যারা সুইমিং পুলকে খেলার মাঠ থেকে আলাদা কোনো বিষয় মনে করছেন তাদের ক্রীড়াঙ্গনের ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ উন্মুক্ত মাঠের মতো সুইমিং পুলেও শারীরিক কসরত ও ক্রীড়া কর্মকান্ডই সংগঠিত হয়ে থাকে। তাই সুইমিং পুল নির্মাণের জন্য তিনি চট্টগ্রামের আপামর সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।’
সুইমিং পুল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ আলী আব্বাস লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘আউটার স্টেডিয়ামটির মালিকানা দীর্ঘদিন সিজেকেএস’র হাতছাড়া থাকলেও আ জ ম নাছির উদ্দীনের চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের কারণে এটি ইতোমধ্যে সিজেকেএস’র নিজস্ব সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার মালিকানাধীন জায়গাতেই সুইমিং পুল নির্মিত হয়েছে। অন্যের কিংবা মূল স্টেডিয়াম থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো স্থানে সুইমিং পুল নির্মাণের কোনো নজির বাংলাদেশে নেই। কারণ এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্বক্ষণিক তদারকির প্রয়োজনেই সুইমিং পুল নির্মাণের স্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং আউটার স্টেডিয়ামের এক কোনায় আধুনিকমানের এ সুইমিং পুল হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন ইভেন্ট চর্চার জন্য যেমন মাঠের প্রয়োজন তেমনি সাঁতার চর্চার জন্যও সুইমিং পুলের প্রয়োজন। মূলত এ জ্ঞানের অভাবে কিছু ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নন এমন কিছু ব্যক্তি এবং সংগঠন শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরে এ সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা করছেন। যা একান্তই দুঃখজনক ও চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গণের উন্নয়নের পথে বড় বাধাও বটে।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের সাঁতার শেখার কোনো সুযোগ নেই। এ লজ্জা আমাদের সকলের। সিজেকেএস’র অধীনস্ত প্রায় শতাধিক ক্লাবের খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদরা সাঁতার জানেনা এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। এ দায় আমাদের সকলের। দায়মুক্তির এ সুযোগের বিরুদ্ধে যারা বিরোধিতা করছে তারা নিজেদের বিবেককেও একবার প্রশ্ন করতে বলেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অনাহুত বেশকিছু লোক চেয়ার নিয়ে বসে পড়লে কোনো কোনো সাংবাদিককে পেছনে বসতে হয়েছে। ফলে আয়োজকদের কাছ থেকে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যা ছিল একেবারেই দৃষ্টিকটু।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্দোলন

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ