নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : কোচ হাতুরুসিংহে এবং নির্বাচকদের চোখে অপাংক্তেয় নাসির জাতীয় দলের বাইরে ৬ মাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর জাতীয় দলের বাইরে এই অল রাউন্ডার। সে অন্তর্জ্বালাটা গতকাল জুড়িয়েছেন নাসির বেশ ভালভাবেই। নির্বাচকদের অপাংক্তেয় নাসিরকে ৪৫ লাখ টাকায় দলে টেনে পাশে দাঁড়ানো গাজী গ্রুপকে দিয়েছে এই ক্রিকেটার আস্থার প্রতিদান। তার ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরিতে (১০৬ বলে ১০৬ নট আউট) আগাম বর্ষবরণ করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে ফেভারিটদের মতো শুরু করেছে গাজী গ্রুপ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭৮ বল হাতে রেখে মোহামেডানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে বিগ বাজেটের এই কর্পোরেট ক্লাবটি।
বিকেএসপি-থ্রি’র ম্যাচটিতে ক্যাচ মিসের ছড়াছাড়ি হতাশ করেছে দু’দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে। ১৯ দিন আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা আফগান ক্রিকেটার রাহমাত শাহকে উড়িয়ে এনে তার প্রতিদান পেয়েছে মোহামেডান। ৯১ বলে ৭৮ রানে প্রিমিয়ার ডিভিশন শুরু করেছেন এই আফগান। ৫ম উইকেট জুটিতে মেহেদী মিরাজকে নিয়ে ১১৮ রানে দিয়েছেন নেতৃত্ব। তবে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তার ৭ম ফিফটির ইনিংসে বড়ই ভাগ্যবান তিনি! একবার, দু’বার নয় গুনে গুনে ৭ বার লাইফ পেয়েছেন। উইকেট কিপার এনামুল বিজয়ের হাত থেকে ফসকে গেছে ২টি ক্যাচ, একটি স্ট্যাম্পিং, সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলে দিয়েছেন নাদিফ চৌধুরীও! সহজ ক্যাচ ফেলেছেন মোহামেডানের সৈকত আলী এবং নাজমুল মিলনও। তবে বার বার বেঁচে যেয়েও সময়ের দাবিটা মেটাতে পারেননি রাহমাত শাহ। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়ে দলের বিপদ ডেকে এনেছেন এই আফগান। যেখানে স্কোর আড়াইশ’ পেরুনোর সম্ভাবনা দেখেছে মোহামেডান, সেখানে মোহামেডান থেমেছে ২২০/৮এ। শেষ ৩৬ বলে মোহামেডানের করুণ দশা’র (২১ রান) জন্য প্রকারান্তরে দায়টা পড়বে রাহমাত শাহ’র উপরই। তবে ক্লাব ক্রিকেটে এই প্রথম বড় দলে খেলার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন মেহেদী মিরাজ। সর্বশেষ ওয়ানডেতে ৫১ রানের ক্লাসিক ইনিংসের ছবিটাই যেনো ফিরিয়ে এনেছিলেন মিরাজ (৭০ বলে ৫২)।
২২১’র চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে এসে শুরুতে ৩ উইকেট (৭৮/৩) হারিয়েও দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি গাজী গ্রæপকে। নাসির-ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রসুলের ১৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপে ৭৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতেছে গাজী গ্রæপ। ২বার লাইফ পাওয়া পারভেজ রসুল শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন ৫৩ রানে (৫৭ বলে ৫ চার, ১ ছক্কা)। তাইজুলকে পর পর তিন বলে তিনটি বিশাল ছক্কায় অন্য এক নেশায় মেতে ওঠা নাসির ১০৬ বলে করেছেন ১০৬ রান। ফিফটিতে লেগেছে তার ৬৯টি বল, পরবর্তী ফিফটিতে খেলেছেন মাত্র ৩৫টি বল। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ৪র্থ সেঞ্চুরিতে হাতুরুসিংহে এবং নির্বাচকদের চোখে যে আঙুল তুললেন নাসির। নাসির অবশ্য আপাতত: প্রিমিয়ার ডিভিশনকে করছেন ফোকাস ‘আমার লক্ষ্য এবার প্রিমিয়ার ডিভিশনে ৮ থেকে ৯শ’ রান। শুরুতে বিগ ম্যাচ দল ভালভাবে জিততে পেরেছে যখন, তাতে অবদান রাখতে পেরেই আমি খুশি।’
মোহামেডান-গাজী গ্রুপ
মোহামেডান স্পোর্টিং লি. : ২২০/৮ (৫০.০ ওভার), সামছুর রহমান শুভ ৩৫, সৈকত আলী ১০, রনি ৯, রকিবুল ১০, রাহমাত শাহ ৭৮, মেহেদী মিরাজ ৫২, নাজমুল মিলন ৫, তাইজুল ০, কামরুল ইসলাম রাব্বী ১৬*, এনামুল জুনি.২*, শফিউল ইসলাম ১/৩৮, আলাউদ্দিন বাবু ২/৪০, আবু হায়দার রনি ১/৪৪, মেহেদী হাসান ২/২৯।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স : ২২৩/৩ (৩৭.০ ওভার), এনামুল বিজয় ৫৪, জহুরুল অমি ১, মুমিনুল ২, নাসির ১০৬*, পারভেজ রসুল ৫৩*, তাইজুল ২/৬১, রাহমাত শাহ ১/২৪।
ফল : গাজী গ্রুপ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : নাসির হোসেন (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।