পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দৈনন্দিন লেনদেনের গতি গত রোববারের চেয়ে কমেছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও কমেছে দুই পুঁজিবাজারে।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৭০০ পয়েন্টে। গত ৪ এপ্রিল ডিএসইর প্রধান এ সূচকটি ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে ওঠার পর থেকে গত তিন দিন এটি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে গত তিন দিনে ডিএসইএক্স সূচকটি ৭৬ পয়েন্ট কমেছে। আর শেষ আট কার্যদিবসের মধ্যে সাত দিনই দরপতন হলো।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬৮টির বা ৫১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ১২১টির বা ৩৭ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির বা ১২ শতাংশের দাম। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক কমে ৫ হাজার ৬৮৯ দশমিকে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ নিয়ে বাজারটিতে টানা তিন কার্যদিবস লেনদেন কমল। আর শেষ ৪২ কার্যদিবসের মধ্যে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
গতকাল সব থেকে বেশি দরপতন হয়েছে ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। ব্যাংক খাতের লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০টির দরপতন হয়েছে। আর দাম বেড়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠানের। বিমা খাতের ২৯টিরই দরপতন হয়েছে এবং দাম বেড়েছে ১৪টির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ৪টির। এছাড়া আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম বেড়েছে। ওষুধ খাতের ২৮টির মধ্যে ১৬টির দাম কমেছে এবং বেড়েছে ১২টির। আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ১৩টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম বেড়েছে।
তবে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ৪টির। প্রকৌশল খাতের ১৫টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ১৪টির। খাদ্য খাতের ১৮টির মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে এবং কমেছে ৬টির।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানির ৪৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের ২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইডিএলসি। লেনদেনে এরপর রয়েছে- রিজেন্ট টেক্সটাইল, সিটি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, সাইফ পাওয়ার, এসআই এবং আইসিবি।
অন্যদিকে সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। গত রোববার লেনদেন হয়েছিল ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে গত কার্যদিবসের চেয়ে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ৭ কোটি ২ লাখ টাকার বেশি। সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৩৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৬১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১০ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৪১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১৩৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩০টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অঙ্কে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সফার্মা, ফার কেমিক্যাল, সিটি ব্যাংক, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইউসিবি, সাইফ পাওয়ার, ইসলামি ব্যাংক এবং লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।