দিনের শুরুতে সূচকের উত্থান হলেও শেয়ার বিক্রির চাপে পতনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেপুঁজিবাজারে ৩৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১০৩টির আর অপরিবর্তি রয়েছে ১৯০টি কোম্পানির শেয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার অপরিবর্তিত থাকার দিনে প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ২১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৪৩ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ কোম্পানির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে ডিএসইতে দাম কমেছে ২৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোম্পানির, আর ৫১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন।
সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিকন ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার। যা শতাংশের হিসাবে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এরপর বিডিকম অনলাইনের শেয়ার সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশন সূচক বৃদ্ধিতে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ অবদান রেখেছে। একই খাতের কোম্পানি কোহিনুর কেমিক্যালের শেয়ার সূচক বাড়াতে অবদান রেখেছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।
এছাড়াও ওরিয়ন ফার্মার ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেড ১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বাজারে ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ ৬০ হাজার ৪১৪টি শেয়ার ও ইউনিটের কেনাবেচা হয়েছে। যার মূল্য ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯০ কোটি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১০৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার দিনেও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। তৃতীয় স্থানে ছিল সোনালী পেপারের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেনের শীর্ষে ছিল-বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিবিএস ক্যাবলস, জেএমআই হসপিটাল, বিকন ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডে এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৩২৩ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ২০৮ টাকার শেয়ার।