Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কিত একটি পরিবারের আর্তনাদ

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার অফিস : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত মহেশখালীর একটি পরিবার এখানো নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিম (বিএ)’র স্ত্রী ইসরাত জাহান নীনা কর্তৃক জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার জেলা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহেশখালী বরাবর পাঠানো লিখিত এক অভিযোগ থেকে এই তথ্য জানাগেছে। চিহ্নিত একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক তার শ্বশরবাড়ির কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদ লুটপাট করা ছাড়াও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে তার স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসরাত জাহান নীনা তার অভিযোগে। শ্বশরবাড়ির কোটি কোটি টাকার লবণ, চিংড়ি ও তার স্বামী এনামুল করিমের প্রাণ রক্ষার ব্যপারে নীনা জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। নীনার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তার শ্বশুরবাড়িটি মহেশখালীর ভূইয়া পরিবার হিসেবে খ্যাত। তার শ্বশুর মরহুম হাজী আব্দুল মাবুদ হোয়ানক ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার স্বামী এনামুর করিম ও তার পিতার মৃত্যুর পরে ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানী বাহিনী তার শ্বশুরবাড়ির ঘর-দোর জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছিল। সম্প্রতি স্থানীয় ফেদাউস ও মোস্তফা কামালের নাম উল্লেখ করে অভিযোগকারী বলেন, তারা সন্ত্রসী দিয়ে জোর করে তার শ্বশুরবাড়ির কোটি কোটি টাকার চিংড়ি ও লবণ লুট করা ছাড়াও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। এ ব্যাপারে আইনী সহায়তা চেয়ে তারা উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট ওই সন্ত্রাসী বাহিনী ও ওসি মহেশখালীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। এর পরেও মহেশখালীর পুলিশ ওই সন্ত্রাসীদের পক্ষে ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিমদের কর্মচারী মোজাম্মেল হক, মুহিউদ্দিন, পথচারী সেলিমকে ওই বাহিনী হত্যা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তাদের লবণ চাষী আব্দুস সাত্তার পিতা মৃত নুরুচ্ছফা ও আব্দুল খালেক মেম্বারের ছোট ভাই খুইল্যা মিয়া পিতা আজম উল্লাহকে সন্ত্রাসী সাজিয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করা হয়। এভাবে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে নীনার স্বামী সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিমকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। অভিযোগকারী ইসরত জাহান নীনা তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে তার স্বামীর জীবন নিয়ে শঙ্কিত বলে উল্লেখ করে তার শ্বশুর পক্ষের কোটি কোটি টাকার লবণ ও চিংড়ি রক্ষা এবং তার স্বামী এনামুল করিমের জীবন রক্ষার জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশান এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সহায়তা কামনা করেন। পাশাপাশি চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে মহেশখালীর ওসি প্রদীপ কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ‘পরে জানাচ্ছি’ বলে ফোন রেখেদেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাসী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ