নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : এই মায়ামিতেই শুরু হয়েছিল ইতিহাসের এক যাত্রা। ২০০৪ সালে যখন এক প্রায় অচেনা ১৭ বছর বয়সী মিয়ামি মাস্টার্সে হারিয়ে দিয়েছিলেন তখনকার নাম্বার ওয়ানকে। সেই মিয়ামিতে আবার মুখোমুখি হলেন রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল। এ বছর নিজের তারুণ্য পুনরাবিষ্কার করা ফেদেরার স্রেফ উড়িয়ে দিলেন নাদালকে। ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে জিতলেন এ বছরের তৃতীয় শিরোপা। মায়ামিতে এটা তার তৃতীয় শিরোপা আর ক্যারিয়ারে ৯১টি শিরোপা জিতলেন সুইস ম্যাস্ট্রো।
২০১৫ সালের পর দীর্ঘ বিরতি। এ বছর এরই মধ্যে তিনবার দেখা হয়ে গেল এই দু’জনের। তিনবারই জিতলেন ফেদেরার। ২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল, ইন্ডিয়ান ওয়েলসের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের পর এবার মিয়ামি ওপেনের ফাইনাল। এর সঙ্গে ২০১৫ সালের বাসেল ওপেনের ফাইনালটি নিলে নাদালের বিপক্ষে ফেদেরারের টানা চার জয়। এর আগে কখনো নাদালকে টানা চারবার হারাতে পারেননি ফেদেরার। এখনো অবশ্য দু’জনের ১৩ বছরে ৩৭টি মুখোমুখি লড়াইয়ে নাদাল ২৩-১৪ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ফেদেরারের ক্যারিয়ারে আবার যেন ফিরে এসেছে মধুচন্দ্রিমা। এই ৩৫ বছর বয়সী টেনিস কিংবদন্তিও বলছেন, ‘গত কয়েকটি সপ্তাহ আমার জন্য ছিল দুর্দান্ত। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার কাছে এটা স্বপ্নের পথচলা।’ এরপর অবশ্য প্রায় দুই মাসের বিরতি নিচ্ছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে হয়তো আর কোনো টুর্নামেন্টে খেলবেন না। ফেদেরার বললেন, ‘আমি তো আর এখনো ২৪ বছর বয়সী নই, এখন অনেক কিছু ভীষণভাবে বদলে গেছে। ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া হয়তো আর কোনো মাটির কোর্টে খেলব না।’
নাদালও সেই আগের খ্যাপা এল ম্যাটাডোর নেই। চোট তাঁকেও ভোগাচ্ছে খুব। মায়ামিতে এই নিয়ে পাঁচবার ফাইনালে উঠেও রানারআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্প্যানিয়ার্ডকে। এর আগে ২০০৫, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৪ সালে ফাইনালে খেলেন তিনি। তবে নাদাল আশাবাদী, ধীরে ধীরে নিজের সেরাটা ফিরে পাচ্ছেন। সামনে মাটির কোর্টের মৌসুম শুরু হচ্ছে বলে যেন আরও খুশি। ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের নয়টিই রোলাঁ গারোঁর লাল দুর্গে। তিন বছর ধরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জেতার অপেক্ষাটা হয়তো এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনেই ঘুচবে। নাদাল সেই আশাতেই বলছেন, ‘মাটির কোর্টে আবার খেলব ভাবতেই তো রোমাঞ্চ হচ্ছে!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।