বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘট অব্যাহত থাকার মুখে গতকাল মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের মধ্যে কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে মেয়রের বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল জানান, আজ শ্রমিকদের বকেয়া দুই মাসের মধ্যে এক মাসের বেতন দেয়া হবে। গত সোমবার আরো এক মাসের বেতন নেয়ার জন্য তাদের জানান হলেও তারা তা না গ্রহণ করে আন্দোলনে নামে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক মাসের বেতনের টাকা ইতোমধ্যে ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। গত মাসেই আরো এক মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। মার্চ মাসে আমরা দুই মাসের বেতন দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেভাবেই কাজ করছি। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, কতিপয় কর্মকর্তা নিজস্ব অন্যায় আবদার পূরণে এ আন্দোলন করছেন। অনেকে রাতের আঁধারে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু কোনো অন্যায় আবদার আমরা মানব না।
সিটি মেয়র বলেন, আজ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের নিয়ে এক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকের (রবিবার) মধ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় সোমবার থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা নতুন শ্রমিক নিয়োগ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ শুরু করবেন। সিটি মেয়র আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা বিবেচনা করেও শ্রমিক-কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ধর্মঘটীদের উদ্দেশে বলেন, নগরবাসীকে জিম্মি করবেন না। সিটি করপোরেশন একটি জনসেবামূলক অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠান। এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের ধর্মঘট সম্পূর্ণ বেঅইনি বলেও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, জার্মানির কেএফডব্লিউর সহায়তায় প্রতি বছর ১৩০ কোটি টাকা করে আগামী ৫ বছর একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা। সে প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিচুজ্জামান স¤পৃক্ত। অথচ তিনি নিজেই এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মেয়র অভিযোগ করেন, কাউন্সিলরদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় যখন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে চলছে, তখন এ আন্দোলনের কারণে দাতারা পিছিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ১৩১ জন নিয়োগপ্রাপ্ত। এ বিপুল সংখ্যক জনবলের বেতন-ভাতা প্রদানে বছরে ২৭ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতাসহ সংস্থাপন ব্যয় প্রায় ৪০-৪৫ কোটি টাকা। অথচ এসিটি করপোরেশনের বার্ষিক নিজস্ব আয় সর্বামোট ২০-২৫ কোটি টাকার বেশি নয়।
সিটি কপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত কয়েক দিনের লাগাতার ধর্মঘটের ফলে বরিশাল মহানগরী ইতোমধ্যেই ময়লা-আবর্জনার দঙ্গলে পরিণত হয়েছে। গোটা নাগরিক পরিষেবা বিপর্যস্ত প্রায়। রাস্তায় রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার স্ত‚প জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছে। এসব আবর্জনার দুর্গন্ধে শুধু পথচারী নয়, এখন ঘর-বাড়ির মানুষেরও প্রাণ অনেকটা ওষ্ঠাগত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।