Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মুনির!

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : গেল চার বছর ধরেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত এক নাম শফিউল্লাহ আল মুনির। ২০১৩ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনের সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত হকির নির্বাচনে অংশ নেননি এই ক্রীড়া সংগঠক। নির্বাচন না করেও নানা কারণে হকিতে ছিলেন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শেষ পর্যন্ত জয় হলো তারই। গত বছরের শেষদিকে মুনির নির্বাচিত হন হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি। এরই মধ্যে সামনে আসে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচন। এই নির্বাচনেও মুনির আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আগামী ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বিওএ নির্বাচনকে সামনে রেখে শফিউল্লাহ আল মুনির উপ-মহাসচিব পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তবে আরও চমকে দেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে। গতকাল দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে নিজের উপ-মহাসচিব পদের মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করে নেন মুনির। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিওএ নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার গৌতম চন্দ্র পাল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহরের একমাত্র দিনটি ছিল কালই। এদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে একমাত্র মুনির ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে জমাকৃত বাকি ৩৮টি মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। সভাপতি ও মহাসচিব পদে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় এ দু’জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এ ঘোষণা আসবে আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন। এখন সভাপতি ও মহাসচিব ছাড়া চার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিওএ’র নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ মার্চ ৩৪টি পদের বিপরীতে ৫৫ জন প্রার্থী ৭৪টি মনোনয়নপত্র কেনেন। গত সোমবার সব প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং অফিসার গৌতমের ভাষ্য অনুযায়ী গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শফিউল্লাহ আল মুনির বলেন, ‘কারো প্ররোচনায় নয়, আমি স্বইচ্ছায় উপ-মহাসচিবের পদ থেকে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
এদিকে বিওএ’র নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে বর্তমান দায়িত্বে থাকা সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক এবং মহাসচিব পদে সৈয়দ শাহেদ রেজাই বহাল থাকছেন। পাঁচ সহ-সভাপতি পদের মধ্যে পেট্রোন কোটা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কোটায় যথাক্রমে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও মাহবুব আরা গিনি বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হলেও বাকি তিন পদের জন্য লড়বেন শেখ বশির আহমেদ মামুন, বাদল রায়, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও মিজানুর রহমান মানু। উপ-মহাসচিবের তিন পদে পেট্রোন কোটায় নজিব আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তবে বাকি দু’টি পদের জন্য লড়ছেন আশিকুর রহমান মিকু, আসাদুজ্জামান কোহিনূর ও ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। কোষাধ্যক্ষ পদে বর্তমান দায়িত্বে থাকা কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপলের মুখোমুখি হচ্ছেন এসএম ইমতিয়াজ খান বাবুল। আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এই পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সদস্য ২৩টি পদের মধ্যে ছয়জন সংরক্ষিত কোটায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৭ পদের জন্য ১৯ জন প্রার্থী লড়বেন। এর মধ্যে অলিম্পিকভুক্ত ফেডারেশনের ১৪টি পদে লড়ছেন ১৫ জন প্রার্থী। এছাড়া রিজিওনাল তিন পদের জন্য লড়াই করছেন চারজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ