গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বনানী থানার দেয়াল ঘেঁষা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে এটিকে নাশকতা মনে করা হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরে শর্ট সার্কিট থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুনের দেখা মেলায় এ আতঙ্কের অবসান ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বনানী ৭ নম্বর সড়কে থানার সামনে বিকট আওয়াজ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শুরু হয় সবার দিগি¦দিক ছোটাছুটি। এলাকাবাসী প্রথমে ধারণা করে, হয়তো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। থানার সামনে হওয়ায় আতঙ্কের মাত্রা আরও বহুগুন বেড়ে যায় সবার মধ্যে। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘিরে ফেলেন আশপাশের এলাকা। বনানীর প্রায় সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। আশপাশের ভবনে খোঁজ নেয়া হয়। রুদ্ধশ্বাস এ অবস্থায় বনানী থানার সামনে বিদ্যুতের লাইনের ট্রান্সফরমার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। খবর দেয়া হয় বিদ্যুৎ বিভাগকে। তারা জানান, ট্রান্সফরমারটি বিস্ফোরিত হয়েছে। এর শব্দই ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা যখন জানালেন যে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে শব্দ হয়েছে, তখন সবার মধ্যে স্বস্তি আসে। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। বাসা-বাড়িতে আটকে পড়া লোকজনও বের হয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন বলেন, তারা মনে করেছিলেন থানার ভেতর কিছু হয়েছে। পরে জানা যায়, বিষয়টি বৈদ্যুতিক গোলযোগ। বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে থানার সামনে যে বৈদ্যুতিক খুঁটি আছে, সেখানে ভারী তারে স্পার্ক হয়। এরকিছু পরেই ফটফট করে বেশ কিছু শব্দ হয়, এবং ছোট বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা যায়। থানায় ফোন করে অনেকেই তার কাছেও বিষয়টি নিয়ে জানতে চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।