Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে সাঁড়াশি অভিযান ও গুপ্তহত্যা নিয়ে ভারতের প্রচন্ড মাথাব্যথা

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজনৈতিক ভাষ্যকার : বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে কিছু গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এবং সেই গুপ্ত হত্যাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ১০ জুন থেকে ১৬ জুন ৭ দিন ব্যাপী জঙ্গি ও অপরাধী দমনের নামে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযানের ফলাফল অনেকটা বহ্বড়াম্বরে লঘু ক্রিয়ার মতো হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সরকারি ভাষ্যমতে সন্দেহভাজন জঙ্গির সংখ্যা ১৯৪ জন। লক্ষ্য করার বিষয় হলো এই যে, এই ১৯৪ জনও যে জঙ্গি সে কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হচ্ছে না। বরং বলা হচ্ছে যে, এরা সন্দেহভাজন জঙ্গি।
‘ডেইলি স্টার’ এবং অপর একটি বাংলা দৈনিক গুপ্তহত্যার শিকার ২০ জন হতভাগ্যের একটি তালিকা দিয়েছে। নিহতের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন মুসলমান, ৩ জন হিন্দু, ২ জন খ্রিস্টান এবং ১ জন বৌদ্ধ। গুপ্তহত্যা বা টার্গেটেড কিলিং অবশ্যই অত্যন্ত ভয়াবহ ও ঘৃন্য কাজ। দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ। এবং আমরা তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। মৃত্যুর চেয়ে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না। সেটি হিন্দুর খুন হোক বা মুসলমানের খুন হোক। খুনের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু ভাইদের চেয়ে মুসলমান ভাইয়েরা খুন হয়েছেন অনেক বেশি সংখ্যায়। অথচ হিন্দু ভাইদের খুন নিয়ে সারা দেশ ব্যাপী মহল বিশেষ এবং একটি বিদেশী শক্তি দেশে এবং বিদেশে এমন প্রচ- শোরগোল তুলেছে যে, মনে হচ্ছে এই বুঝি বাংলাদেশে মহা প্রলয় ঘটে গেল।
গত ৪/৫ দিন এই হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার এবং টার্গেটেড কিলিং এর বিপরীতে ক্রসফায়ার, বন্দুক যুদ্ধ বা শুট আউটে আরো ১৮ ব্যক্তি নিহত হয়েছে।  এই পাইকারী গ্রেফতার, টার্গেটেড কিলিং এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রসফায়ারকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এবং বিদেশে তুমুল আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় বইছে। এই আলোচনা ও সমালোচনার একপক্ষে রয়েছেন এদেশের জনগণ আর অন্য পক্ষে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকার। যখন মার্কিন সরকার (রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের মাধ্যমে), নিউইয়র্ক টাইমস, জার্মান বেতার, বিবিসি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মুক্ত বিশ্ব এই পাইকারী গ্রেফতার ও শুট আউটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তখন একমাত্র ভারত আওয়ামী সরকারের এইসব কাজকে মুক্ত কচ্ছ সমর্থন দিয়ে গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র-মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, তারা বাংলাদেশ সরকারের এসব পদক্ষেপে খুশি এবং এই সংকটে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন। বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসের সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পশ্চিম বঙ্গরাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীও বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাসগুপ্ত এবং এফডিসির সাবেক এমডি অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ভারতকে হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৯ জুন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার মি. হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন যে, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা দমনে ভারত সর্বাত্মক সহায়তা দান করবে।
ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতি
সবকিছু মিলিয়ে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অকস্মাৎ ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। আপাত দৃষ্টিতে দেশের রাজনীতিতে বিরোধীদল বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর কোন তৎপরতা নাই বললেই চলে। বাহ্যিকভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা দিঘীর পানির মতো শান্ত এবং অচঞ্চল। অথচ হঠাৎ করে মনে হচ্ছে পর্দার অন্তরাল থেকে কে বা কারা সেই শান্ত জলরাশিতে ঢিল ছুঁড়েছে। তাই দেখা যায়, মাত্র কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে চরমপন্থী জঙ্গিরা গুপ্তহত্যা করার সাথে সাথেই দিল্লী এবং ঢাকা যেভাবে নড়াচড়া করছে সেটি সকলের চোখে পড়ার মতো। অথচ কিছুক্ষণ আগেই আমরা পরিসংখ্যান দিয়ে উল্লেখ করেছি যে, এই কয়েক দিনে চাপাতির আঘাতে যে ক’জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা হিন্দুদের দ্বিগুনেরও বেশি। সেই মুসলমান, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরে একটি শব্দও উচ্চারণ না করে দিল্লী এবং কলকাতার সরকারি দল এবং বিরোধী দল অর্থাৎ বিজেপি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস এক বাক্যে কোরাস গাওয়ার মতো বাংলাদেশ ইস্যুতে মাথা ঘামানো শুরু করেছে।
জঙ্গি দমনে ভারতের সাহায্য
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার মি. হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে ভারতের সর্বাত্মক সাহায্যের প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশের জঙ্গি দমনে ভারতীয় সাহায্য লাগবে কেন? বাংলাদেশে কি আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক বা সিরিয়ার মতো ভয়াবহ এবং রক্তাক্ত জঙ্গি তৎপরতা চলছে?
বাংলাদেশ এখনও সর্বশক্তি নিয়োগ করেনি
বাংলাদেশের জঙ্গি পরিস্থিতি পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো নয়। জঙ্গিবাদ এখানে জনগণের সমর্থন পায়নি। সেই জন্য জঙ্গিবাদ এখানে সেই মাত্রায় বিকশিত হয়নি। যেসব চোরাগুপ্তা হামলা হচ্ছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশই যথেষ্ট। বাংলাদেশের বিডিআর এবং সেনাবাহিনী এখনো আলাদাভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। তাদেরকে এখনো নামানো হয়নি। আগামী দিনেও নামাবার প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।
ভারত আগে নিজের ঘর সামলাক
ভারত তো তার নিজের ঘরেই জঙ্গিবাদ দমন করতে পারেনি। কাশ্মীরে ১ কোটি মানুষ অতীতে আন্দোলন করেছে, বিপ্লব করেছে। ভারত সরকার কাশ্মীরিদের বশ করতে পারেনি। বরং ভারতের বিশাল সেনাবাহিনীর একটি অংশকে বছরের পর বছর ধরে, যুগের পর যুগ ধরে কাশ্মীরে মোতায়েন রেখেছে। আজ যদি কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হয় এবং অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তার ফলাফল অনেক ভারতীয়ের জন্যই সুখকর নাও হতে পারে। ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবে বারবার শিখ সম্প্রদায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। স্বর্ণ মন্দিরসহ অসংখ্য জায়গায় ভারতীয় সেনাবাহিনী নামিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে সে আন্দোলনকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করা হয়েছে। আজ যদি পাঞ্জাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ ঘটতে পারে।
উত্তর পূর্ব ভারত
উত্তর পূর্ব ভারতের একটি নয়, ৭টি রাজ্যে আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়েছে। রাজ্যগুলি হলো, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড এবং আসাম। এই ৭টি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলন দমন করেত ভারত হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিল। সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ সৈন্য উত্তর পূর্ব ভারতের এই ৭টি রাজ্য বা সাত বোনে মোতায়েন রয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এই ৭ বোনের ব্যাপারে যে ভূমিকা গ্রহণ করেছে তার ফলে ভারত আপাতত বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করতে পেরেছে।
ভারতের অভ্যন্তরেই যেখানে এতগুলো রাজ্যের অবস্থা ভালনারেবল, সেখানে ভারত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বোঝা ঘাড়ে নেবে কেন? আজই ঐসব স্থান থেকে সেনাবাহিনী তোলা হোক, কালই সেখানে পরিস্থিতি আমুল পাল্টে যাবে। সেই অবস্থায় ভারত বাংলাদেশের জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কিভাবে নেবে? নেওয়ার একটিই পথ আছে। সেটা হলো, বাংলাদেশেও ভারতের বিগ স্টিক পলিসি অনুসরণ করা।
এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী হিন্দুর মতলব
বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি ওপরে উঠে এসেছে তখন সংশ্লিষ্ট সকলেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় নেমেছেন। এ ব্যাপারে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পেশ করা লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট নেতা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন দিন দিন বাড়ছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে।’ লিখিত বক্তব্যে দাবি জানানো হয়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে সমহারে মন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। দেশব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে নিজেদের ৬০টি আসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। তারা ৬০টি আসন চায় কেন? তারা কি জনসংখ্যার ৫ ভাগের এক ভাগ? তাদের সংখ্যা কি ৩ কোটির ওপর? নাকি তারা মোট জন সংখ্যার ৯ শতাংশ? তাদের সংখ্যা কি ১ কোটি ৪৪ লাখ নয়?
এটি একটি সাম্প্রদায়িক দাবি
বাংলাদেশে যুক্ত নির্বাচন হবে না পৃথক নির্বাচন হবে সেটি একটি মীমাংসিত বষয়। আওয়ামী লীগই তো বলে, পৃথক নির্বাচনের দাবি হলো সাম্প্রদায়িক নির্বাচনের দাবি। পৃথক নির্বাচনের আওয়াজ তুললে প্যানডোরার বাক্স খোলা হবে। কিন্তু হিন্দু মহাজোট সেই প্যানডোরার বাক্সটি খোলার অশুভ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অর্থাৎ যেসব ভিত্তির ওপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তার এক বা একাধিক ভিত্তি হিন্দু মহা জোটের এই উদ্যোগের ফলে বানচাল হয়ে যাবে।
ভারতের সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা দেবে কে?
আমরা পুনর্বার বলছি যে, সাম্প্রতিক টার্গেটেড কিলিংয়ের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নাই। তাই আজ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ‘রক্ষার জন্য’ ভারতের কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সব সরকারগুলি মনে হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারতে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যেখানে এক সাথে ২ হাজার মুসলমান মারা যায়, সেই অসহায় সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য ভারতের রাজনীতিবিদরা আওয়াজ তোলেন না কেন? মানুষ তো দেখতে পাচ্ছে যে, সরিষার মধ্যেই ভূত আছে। সেই ভূত তাড়ায়, কার বাপের এমন সাধ্য?
তারপরেও কেন এই হৈচৈ?
এসব কথা এবং এসব ঘটনা সকলেই জানেন। তারপরেও হিন্দু নির্যাতন ইস্যুটি নিয়ে এভাবে ফ্যান আপ করার পেছনে কি উদ্দশ্য রয়েছে? পর্যবেক্ষকদের মতে এখানে এক দিকে রয়েছে ভূ-ম-লীয় রাজনীতি। অন্যদিকে রয়েছে দল বিশেষের ক্ষমতার রাজনীতি। আমেরিকাকেও দেখা যাচ্ছে এই ইস্যুতে ভয়ংকর তৎপর। এ ব্যাপারে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর পুত্র ভারতীয় লোকসভার সদস্য অভিজিৎ মুখার্জীর মন্তব্যটি এখানে প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশে মাঝে মাঝে সহিংসতা হয়। সেই সহিংসতায় ২/৪ জন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে সহিংসতা হয় সেখানে একটি মাত্র স্থানে মুহূর্তের মধ্যে পঞ্চাশজন মানুষ মারা যায়। সেই আমেরিকা বাংলাদেশের এসব ব্যাপারে কোন মুখে নাক গলাতে আসে?
সাঁড়াশি অভিযানে ভারতের লাভ : ভারতের হাইকমিশন
গত ১৭ জুন দৈনিক ‘আমাদের সময় ডট কমে’ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে প্রতিবেশি দেশ ভারতের নিরাপত্তার পক্ষেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দিল্লীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে একটি রিপোর্ট দেন, যেটি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে, ঢাকার হাইকমিশন থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আইএস-এর নাম করে নাশকতা চালানো জেএমবি ও আনসারুল্লা জঙ্গিদের বহু নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পড়শি দেশে জঙ্গিবিরোধী এই অভিযান ভারতের নিরাপত্তার পক্ষেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশে সাঁড়াশি অভিযান ও গুপ্তহত্যা নিয়ে ভারতের প্রচন্ড মাথাব্যথা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ