পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার উপকূলীয় নগরী সিরতে পুনরুদ্ধারে লিবীয় বাহিনীর অগ্রাভিযান চলছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর দখল থেকে সিরতের কেন্দ্রীয় অঞ্চল মুক্ত হয়েছে বলে ইতোমধ্যে দাবি করেছে লিবিয়ার সরকারি বাহিনী। আইএস জিহাদিরা সিরতে ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলেও তারা দাবি করেছে। কয়েকদিন থেকেই লিবিয়ার সরকারি বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারি বাহিনীর মুখপাত্র রিদা ইসা বলেছেন, গত রবিবারের অভিযানের পর এখন কেবল নগরীর একটি জেলাতেই আইএস-এর উপস্থিতি রয়েছে। সেখান থেকে তারা পালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, আইএস-এর সঙ্গে লড়াইয়ে সরকার সমর্থিত ৩৫ লিবীয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ বিরত থাকার পর রবিবার থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে ব্যাপক লড়াই। গত সোমবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ অনুমোদিত সরকারের অনুগত বাহিনী। ১ আগস্ট থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯২টি বিমান হামলা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক জোট। তিন মাস ধরে চলা লিবীয় বাহিনীর অভিযানে আইএস মাইন পুঁতে, সøাইপার দিয়ে ব্যাপক চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। এতে গত সোমবার লিবীয় বাহিনীর ছয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন এবং ১২ জন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অন্য নিহতরা স্বেচ্ছাসেবী মিলিশিয়া। সরকার অনুগত যোদ্ধারা আইএস-এর ওপর ট্যাঙ্ক, রকেটচালিত গ্রেনেড এবং বিমানবিধ্বংসী কামান দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী শহর মিসরাতার নেতৃত্বাধীন ব্রিগেড এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যেন আইএস জঙ্গিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা চলে যেতে পারে, সেজন্য সময় দিয়েছে তারা। গত বছর আইএস শহটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সিরতের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছেন। এরপর এটি আইএস-এর শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।