গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : কড়াইল বস্তির অগ্নিকান্ডে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুড়ে যাওয়া কড়াইল বস্তি পরিদর্শনের এসে বস্তিসংলগ্ন পল্লীবন্ধু এরশাদ বিদ্যালয়ের মাঠে তিনি এ কথা জানান। আনিসুল হক বলেন, ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলছেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আরেক কথা বলছে। সিটি কর্পোরেশনসহ সাত-আটটি এনজিও গণনার কাজ শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে কয়টা দোকান বা বাড়ি পুড়েছে তা বের করার কাজ চলছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। অতীতে অনেকবার আগুন লাগার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে পুড়ে যাওয়ার পর তাদেরকে টিনের ঘর করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী এবারো তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। এরশাদ স্কুলের মাঠে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতোদিন সম্ভব এখানে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। কড়াইল বস্তির আগুন পরিকল্পিত কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো যায় কি না তা আমার জানা নেই। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। আগুনের প্রকৃত কারণটা ফায়ার সার্ভিসই খুঁজে বের করবে। সরু রাস্তার কারণে বস্তিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হয়েছে। নতুন করে বস্তি তৈরির সময় রাস্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে মেয়র বলেন, যারা এখানে থাকে তাদের জন্য ঘর তুলে রাত কাটানো গুরুত্বপূর্ণ, রাস্তাটা গুরুত্বপূর্ণ না। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট সাড়ে ৫ ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় দেড়শ’ একর জায়গা নিয়ে তৈরি কড়াইল বস্তিটি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মালিকানাধীন। কয়েকবার উচ্ছেদের চেষ্টা করলেও বস্তিবাসীর আন্দোলনের মুখে সরে আসে বিটিসিএল। ১ বছরের মধ্যে কড়াইল বস্তিতে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ আগুনের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ। এদিন দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় প্রায় ৫০০’রও বেশি ঘর। গৃহহীন হন সহস্রাধিক মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।