বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বনাঞ্চলে বেড়ে ওঠা সজারুর আশ্রয় হয়েছে পানছড়ির সাঁওতাল পাড়ার সামাই সাঁওতালের বাড়িতে। সামাই সাঁওতালের বাড়িতে দৌড়ে বেড়াচ্ছে সজারু ছানাটি। তার চলার পথে কেউ বাধা দিলেই পুরো গা জুড়ে মেলে দেয় শতাধিক কাটা।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাঁওতালপাড়ায় পোষ মেনেছে বন্য এ সজারু। ইতোমধ্যে পাড়ার লোকজনের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা হয়েছে বনের এ সজারুর। লোকালয়ে নিজের মনের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে সজারুটি। সজারুটি দেখতে অনেকে ভিড় করছেন সাঁওতালপাড়ায়। সেখানে মানুষের ভালোবাসায় বড় হচ্ছে সজারুটি।
মাস তিনেক আগে জঙ্গলে তরকারি খুঁজতে গিয়ে সজারুর ছানাটিকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে নিয়ে আসেন জবা সাঁওতাল।
খাগড়াছড়ির পানছড়ির সাঁওতাল পাড়ার সামাই সাঁওতালের স্ত্রী জবা সাঁওতাল বলেন, বর্তমানে সজারুটি আমাদের পরিবারের সদস্যে পরিণত হয়েছে। সবাই তাকে আদর করে। গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেই সে মনের আনন্দে ঘরে কোণে বিছিয়ে দেয়া খড়ে ঘুমায় সে।
পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত সজারু। চাকমা সম্প্রদায় খুদুক, মারমা সম্প্রদায়ের কাছে প্রু, ত্রিপুরাদের কাছে মাসুংদুই ও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কাছে ঝিনক নামেই পরিচিত।
জবা সাঁওতালের ছেলে বর্ষ সাঁওতাল জানান, সব ধরনের খাবার দিলেই খায়। তবে বাঁশকুড়ল, ভাত ও দুধ বেশি পছন্দ করে।
সজারু পোষ মানার বিষয়টিকে আশ্চর্যজনক মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুল আফসার বলেন, সাধারণত পাহাড়ের গর্তে থাকা এ প্রাণী তো লোকালয়ে পোষ মানার কথা না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।