Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৃত ধার্মিক কারো ক্ষতি করতে পারে না

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

পৃথিবীতে মোট ধর্ম ৪৩০০টি। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধান। সেগুলো হলো: খ্রিস্টানধর্ম, ইসলামধর্ম, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও ইহুদিধর্ম। খ্রিস্টানধর্ম, ইসলামধর্ম ও ইহুদিধর্ম- এ তিনটি আল্লাহপ্রদত্ত ধর্ম তথা আসমানীধর্ম। এ তিন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথমমানব আদম (আ.)। হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্ম মানবসৃষ্ট ধর্ম। হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রথম মানব মহর্ষিমনু। এ ধর্মগুলোর বাইরে আরো যে সমস্ত ধর্ম আছে সবগুলো অধ্যয়ন করলে জানা যায় যে, পৃথিবীর প্রথমমানব ধার্মিক ছিলেন। প্রত্যেক ধর্মের মৌলিক বক্তব্য ও বিশ্বাস ছিল একত্ববাদ ও মানবতাবাদ। স্ব স্ব ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মের অনুসারীরা একত্ববাদী, একেশ্বরবাদী ও মানবতাবাদী। আগে মানুষের কাছে রাষ্ট্রের কোনো ধারণা ছিল না। রাষ্ট্রের আগেই পৃথিবীতে ধর্ম ও ধার্মিকের আবির্ভাব ঘটে। আর এটা বুঝতে বড় ধরনের কোনো প্রমাণ ও গবেষণার প্রয়োজন নেই। আসমানীধর্ম হিসেবে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলাম প্রথমমানব আদম (আ.)কে নবী হিসেবে বিশ্বাস করে থাকে। তিনি প্রত্যাদিষ্ট হয়ে মানুষদের একত্ববাদ, সুনীতি, সুশাসন, সুশিক্ষা, সততা ইত্যাদি ধর্মীয় ও মানবিক আচরণ শিক্ষা দেন। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে উল্লেখিত শিক্ষা ও দীক্ষার সুষ্ঠু অনুসরণ ও অনুশীলনের বাস্তবায়ন ঘটেছিল। তবে পিছন থেকে শয়তানরূপী কিছুসংখ্যক মানুষ এবং জিন মানুষদের বিপথগামী করার চেষ্টা করে এবং এখনো সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে কিন্তু সব ক্ষেত্রে সফল হয়নি।

খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্র্তক ছিলেন যীশু বা ঈসা (আ.)। তাঁর জন্ম আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২ থেকে ৭ সালে। তিনি পৃথিবীতে আগমন করে জাগতিক মুক্তির পাশাপাশি পরকালীন মুক্তির পথনির্দেশনা দেন। তাঁর প্রচারিত ধর্মীয়বিশ্বাস ও আচরণগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল: একত্ববাদ, ফেরেশতায় বিশ্বাস, আত্মিক পরিশুদ্ধতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা প্রদর্শন, সহিষ্ণুতা, ব্যভিচার নিষিদ্ধ করা, সুদ পরিহার করে চলা, পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা, ব্যক্তিত্ববোধ ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রতিশোধ না নেয়া, ধর্ম শিক্ষা দেয়া, ক্রোধ সংবরণ ও শোকরানার জন্য প্রভুর উপাসনা করা ইত্যাদি। ইহুদি ধর্মের প্রবর্র্তক ছিলেন মুসা (আ.)। তিনি খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ২০৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও ইহকালের পাশাপাশি পরকালের মুক্তিবিষয়ক পথনির্দেশনা পেশ করেন। তিনি মানুষকে জাগতিক সকল পাপকর্ম থেকে বেঁচে থাকতে সতর্ক করেন। তার প্রচারিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে অন্যতম হলো: আদম (আ.) আদি পিতা, ইব্রাহীম (আ.) জাতির পিতা, মুসা (আ.) আল্লাহর প্রেরিত নবী, জেরুজালেম পবিত্র নগরী, সুদ নিষিদ্ধ, ব্যভিচার নিষিদ্ধ, জুলুম করা মহাপাপ, ছেলে সন্তানদের খতনা করানো, পরস্পরের সাক্ষাতে সালাম বলা, পশুর রক্ত ও শূকরের মাংস নিষিদ্ধ, আকিকার মাধ্যমে সন্তানের নাম রাখা, নতুন চন্দ্রের ভিত্তিতে মাস গণনা করা, দাঁড়ি রাখা, টুপি পরা আল্লাহর সাথে শরীক না করা ইত্যাদি। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুধর্ম একটি মানবসৃষ্টধর্ম। এ ধর্মমতে হিন্দুরা একেশ্বরবাদী। তাদের সামাজিক আচরণে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। ব্যভিচার নিষিদ্ধ। অবৈধ উপার্জন নিষিদ্ধ। মদ্যপান নিষিদ্ধ। এছাড়া সততা, সহনশীলতা ও মানবতা এ ধর্মের অন্যতম প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত। বৌদ্ধধর্মও হিন্দুধর্মের মতো মানবসৃষ্ট ধর্ম। উইকিপিডিয়ার ভাষ্যমতে, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারতের মগধ রাজ্যে (বর্তমান বিহার রাজ্যে) এ ধর্মের সূত্রপাত ঘটে। প্রবর্র্তক হচ্ছেন সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধের এই কথাগুলি প্রণীধানযোগ্য মানুষ মানুষের জন্য, যাদের পঞ্চেন্দ্রিয় আছে তাদের হত্যা করো না, বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার করোনা, পড়ে থাকা বস্তু তুলে নিও না, মিথ্যা বলো না, মদ-গাঁজা ইত্যাদি সেবন করো না, সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রীভাব পোষণ করো, হিংসা, রাগ, অহংকার, মোহ পরিত্যাগ করো, মাতা পিতার সেবা করো, বৈধ আয় দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করো ইত্যাদি। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মরুময় আরবভূমির মক্কা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও একত্ববাদের প্রচার করেছিলেন। তিনি সমগ্র মানবতার সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে আগমন করেছিলেন। (সূরা আস ছাবা-২৮)। তিনি শিক্ষক হিসেবে এবং মানবজাতির চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে প্রেরিত হয়েছিলেন। (মুসনাদে আহমাদ)। তিনি ৬১০ সালে নবুয়াতপ্রাপ্ত হয়ে মাত্র ২৩ বছরের ব্যবধানে আরবের অসভ্য, অদম্য, বর্বর ও বিশৃঙ্খল জাতিকে একটি মাত্র আওয়াজের মাধ্যমে কোনো প্রকার জবরদস্তি ছাড়া একই পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আর সে বাক্যটি ছিল: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ। তিনি অল্পদিনের ব্যবধানে আরব থেকে দাসত্বপ্রথা উচ্ছেদ করেছিলেন। মাদকতা নিষিদ্ধ করেছিলেন। ব্যভিচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। নারীর মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জুয়া চিরতরের জন্য বন্ধ করেছিলেন। অন্য ধর্মের মানুষের সম্পদ এবং রক্ত নিজের সম্পদ এবং রক্তের মতো পবিত্র ঘোষণা করেছিলেন। অন্য ধর্মের উপাসকদের সম্মান ঘোষণা করেছিলেন। যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। সুদ পরিহার করেছিলেন। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুণ্ঠন ইত্যাদি চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। নেতা নির্বাচনে পরামর্শের ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিলেন। আর নেতৃত্বের যোগ্যতা হিসেবে তাকওয়াকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। দুই জাহানের নেতা হয়েও অতি সাধারণ জীবন যাপন করে তিনি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন।

প্রত্যেক ধর্মের প্রবর্তক তাঁর জাতিগোষ্ঠীর ক্রান্তিকালে আধ্যাত্বিক অভিভাবক, সত্য-ন্যায়ের পথপ্রদর্শক, সামাজিক নেতা ও শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ধর্মের প্রবর্তকগণ পৃথিবীতে আগমন করে সময়োপযোগী জ্ঞান, বাণী, আদর্শচরিত্রের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছিলেন। আর প্রচারিত জ্ঞান, বাণী, আদর্শ ও চরিত্রের মাধ্যমে সমাজ এবং দেশের নেতৃত্ত্বও প্রদান করেছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ওই সময়ের শ্রেষ্ঠ ত্যাগী, সাহসী ও সফল মানবকর্মী ও প্রগতিশীল নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তারা অত্যন্ত সততা, যোগ্যতা ও বলিষ্ঠতার সাথে নেতৃত্ব ও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এক কথায়, তাদের জীবনী ও আগমনের যুগ সম্পর্কে গবেষণা করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তারা সমকালীন যুগের কোনো না কোনো জাতির ও দেশের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের মাঝে ছিল এক অসাধারণ ও অলৌকিক সম্মোহনী শক্তি, যার মাধ্যমে তারা একটি সমাজ, লোকালয় ও দেশে জনজাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একালের রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিগণ শুধুমাত্র জাগতিক সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের নিমিত্তে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। কিন্তু ধর্মপ্রবর্র্তকগণ ইহজগত ও পরজগত- দুই জগতেরই সুখ, শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণের নিমিত্তে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করেছেন। বর্তমান পৃথিবীর সর্ব উত্তরের নরওয়ে আর সর্ব দক্ষিণের চিলি-বিস্তৃত এ পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেতা-নেত্রীর প্রত্যেকেই কোনো না কোনো আধুনিক মতবাদের প্রবক্তা ও অনুসারী। তারা সমাজতন্ত্রী অথবা গণতন্ত্রী অথবা ধর্ম নিরপেক্ষ কিংবা অন্য যেকোনো তন্ত্রে-মন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু পৃথিবীর কোনো ধর্মপ্রবর্র্তকই সমাজতন্ত্রী ছিলেন না, গণতন্ত্রী ছিলেন না। ছিলেন না ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা পুঁজিবাদে বিশ্বাসী কোনো নেতা। সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সুবিস্তৃত বিশাল এ পৃথিবীর গণতন্ত্রী ও সমাজতন্ত্রী আর ধর্মনিরপেক্ষ নেতৃবৃন্দকে মানুষ দেখতে পায় একজন সফল অস্ত্র ব্যবসায়ী, প্রবল যুদ্ধবাজ ও দাঙ্গাবাজ হিসেবে। দেখতে পায় লাঠিয়াল, দুর্নীতিবাজ, প্রচন্ড ক্ষমতালোভী ও সীমাহীন সম্পত্তিলোভী হিসেবে। তাদের তন্ত্র-মন্ত্রকে দেখতে পায় অনৈতিক ক্ষুধায় কাতর তাল-মাতাল মনুষ্যত্বহীন এক দানবীয় বিশ্বনেতৃত্ব হিসেবে।

কিন্তু ধর্মপ্রবর্র্তকগণ তেমন ছিলেন না। আরাম-আয়েশ বিবর্জিত আর ত্যাগ কোরবানির দৃষ্টান্ত দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল তাদের নেতৃত্ব। অনাহারীর পাশে দাঁড়ানো ছিল তাদের ধর্মীয় বাণীর মূল কথা। নিজে না খেয়ে, নিজেদের সব সুখ শান্তি জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের সুখের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়ার ইতিহাস ছিল তাদের। ব্যক্তি আর স্বার্থপূজারীদের রক্তচক্ষুর রোষানলে পড়ে কারাগারে অন্তরীণ হওয়া ও দেশান্তরিত হওয়া ছিল তাদের জীবনে সাধারণ ঘটনা। আর এই মহিমান্বিত নেতৃত্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল ভাস্কর ছিলেন মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)। তাঁর প্রচারিত একত্ববাদ আর মানবতাবাদী চেতনায় অতি অল্প দিনের ব্যবধানে সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আরবের অদম্য, অবাধ্য, চরম শৃংখলমুক্ত স্বাধীন একটি বর্বর জাতিকে অল্পদিনের মধ্যেই বশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

আবহমানকাল থেকে বৃহদাংশ মানুষ সামাজিক প্রয়োজনে, সামাজিক সুশৃংখলপূর্ণ জীবন যাপনের বাসনায় ধর্মীয় অনুশাসনের অনুসন্ধান করে চলছে। বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের যুগেও মানুষ সুন্দর জীবন যাপনের জন্য ধর্মের দ্বারস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে তারা ইসলাম ধর্মে আশ্রয় নিচ্ছে। তারা মনে করে, ধর্মীয় নির্দেশ অমান্য করলে ব্যক্তি, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। প্রাচীন অন্ধকার, বিশৃংখল, আর বর্বর সমাজে আগত মহানবী (সা.)-এর রুচিবোধ, জীবনবোধ, মানবতাবোধ, লোভহীনতা, সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রতত্ত্ব, দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা, ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, অনুশীলন আর তা প্রচারের সুনিপুণকৌশল দুনিয়ার সর্বত্রই নন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছিল। একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এ যুগেও মানুষ আজও তাই ফিরে খুঁজে সেই মহানবীর (সা.) কালজয়ী আদর্শ। বিশ্বের ধর্মে বিশ্বাসী আস্তিকগণ ধর্মকে তাদের জীবনধারণের একমাত্র চরম ও পরম নির্দেশনা হিসেবে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। অন্যদিকে ধর্মবিহীন আস্তিক এবং গুটিকতক ধর্মহীন নাস্তিক তাদের এই আদর্শকে ব্যক্তি, পারিবার, সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনে অস্বীকার করে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, কোনো ধর্মই অপর ধর্মের লোকদের ওপর অন্যায় ও জুলুম করার অধিকার দেয় না তার অনুসারীদের। কিন্তু কিছু মানুষরূপী অমানুষ ধর্মের নির্দেশনা না মেনে ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থে অপর ধর্মের লোকদের ওপর কখনো কখনো বর্বর ও নিষ্ঠুর আচরণ করে। এখানে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, ধার্মিক, ধর্মান্ধ ও ধর্মকে অপকর্মে ব্যবহারকারী অভিন্ন হতে পারে না। ধার্মিক কখনই তা করে না। ধর্মান্ধ ও অজ্ঞরা করবে। আর স্বীয় স্বার্থ হাসিলে অনেকে ধর্মকে ব্যবহার করে। শেষোক্ত দুই শ্রেণির লোকদের রুখতে হবে। এ দায়িত্ব প্রধানত ধার্মিকদের। শান্তি-নিরাপত্তার বিশ্ব গড়তে ধর্মের পরিশুদ্ধ, পরিচ্ছন্ন অনুসরণের বিকল্প নেই।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
[email protected]



 

Show all comments
  • সবুজ ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৩৯ পিএম says : 0
    মাশাল্লাহ প্রিয় স্যার অসাধারণ লিখছেন। . جـَـــــــــــزَاكَ اللـّٰهُ خيْــــــــــــــرًا আপনাকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন❤️
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রকৃত ধার্মিক
আরও পড়ুন