নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইংলিশ ফুটবলে যোগ দিয়েই এমন হানিমুন দশায় থাকতে পেরেছেন সম্ভবত খুব কম কোচই, ঠিক যেমন দশায় আছেন অ্যান্তোনিও কোন্তে। চেলসির দায়ীত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই ঘরোয়া ডাবল জয়ের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ইতালিয়ান কোচ। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার পথে তার দল পরিষ্কার ১০ পয়েন্টে এগিয়ে, পরশু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপেও ফাইনালে উঠে গেল চেলসি।
ঠিকই ধরেছেন। সেই চেলসি, এক বছর আগে যে চেলসিকে ‘ডুবিয়েছিলেন’ হোসে মরিনহো। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এদিন সেই মরিনহোর নতুন দল ইউনাইটেডকে হারিয়েছে চেলসি। সাউডলাইনে যেহেতু মরিনহো সেহেতু ম্যাচটি শুধুই একটা ফুটবল ম্যাচের আবহে সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুই দফায় তিন তিনবার চেলসির প্রিমিয়ার লিগ স্বপ্নপূরণের সারথী মরিনহো, দুইবারই তাকে হতে হয়েছে বরখাস্ত! সেই পুরোনো চেনা আঙিনায় ফেরার পর পুরোনো সমর্থকদের কাছে থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়াটাই ছিল কাম্য। কিন্তু হায়! তেমনটা তো হলোই না, উল্টো গ্যালারি থেকে শুনতে হয়েছে ‘বিশ্বাসঘাতক’ দুয়ো। বরখাস্ত হওয়ার পর মরিনহো অবশ্য প্রথম স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফেরেন গত অক্টোবরে। সেবারের অভিজ্ঞতা ছিল আরো ভয়াবহ, ৪-০ গোলের হার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল তার দলকে।
তবে নামটি যেহেতু মরিনহো, সেই তিনি কথার লড়াইয়ে হারবেন কেন? পর্তুগিজ কোচের জবাব, ‘যতদিন তারা (চেলসি) একজন কোচের অধীনে চারটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতছে ততদিন আমিই নাম্বার ওয়ান। ততদিন এই ‘বিশ্বাসঘাত’-ই নম্বর ওয়ান।’ ২০০৫-৬ ও ২০১৪ সালে চেলসিকে লিগ শিরোপা জেতান মরিনহো।
সাইডলাইনেও জমে ওঠে কোন্তে-মরিনহোর লড়াই। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার ১০ মিনিট আগে এডেন হ্যাজার্ডকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখতে হয় ইউনাইটেড মিডফিল্ডার আন্দের এররেরাকে। তখন রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়েন মরিনহো। এর খানিক পর তীক্ষè বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন কোন্তে-মরিনহো। ম্যাচ অফিসিয়ালদের হস্তক্ষেপে দুই কোচকে আলাদা করতে হয়।
১০ জনের দল নিয়ে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়তে পারত রেড ডেভিলরা। কিন্তু হ্যাজার্ড ও গ্রে কাহিলকে গোলবঞ্চিত করেন সফরকারী গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। তবে বিরতি থেকে ফিরে আর পেরে ওঠেননি স্প্যানিশ গোলরক্ষক। এনগোলে কোন্তের ড্রাইভ ইউনাইটেডের জাল খুঁজে নেয়।
জøাতান ইব্রাহিমোভিচ বহিষ্কৃত, ওয়েন রুনি ও অ্যান্তোনিও মার্শিয়াল চোটগ্রস্ত; অসুস্থতার মধ্যেও তাই মাঠে নামেন মার্কাস রাশফোর্ড। শেষ পর্যন্ত এই রাশফোর্ডের কল্যাণেই একবার সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড, কিন্তু চেলসির বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবাইট কোর্টোইস দারুণ নৈপূণ্যে সফলতার মুখ দেখিনি। ১০ জনের দল নিয়ে উড়তে থাকা দলের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু করার সাধ্য ছিল না মরিনহোর দলের। প্রতিটা মুহূর্তেই তাকে পুড়তে হয়েছে ইব্রা, রুনি ও মার্শিয়ালের অভাবে। ম্যাচ শেষে রেফারি আর ভাগ্যকে দুষেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে সেমিফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ টটেনহাম। একই মাঠে শেষ চারে মুখোমুখি হবে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।