নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৬ রিও অলিম্পিকে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন জোসেফ স্কুলিং। ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে ফেবারিট ও নিজের আদর্শ মাইকেল ফেল্পসকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন সিঙ্গাপুরের এই সাঁতারু। সে সঙ্গে অলিম্পিক রেকর্ডও গড়েছিলেন। গতকাল সে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন ক্যালেব ড্রেসেল। এদিন সকালেই ১০০ মিটারের ফ্রি স্টাইলের সোনা জিতেছেন মার্কিন সাঁতারু। বাটারফ্লাইয়ের হিটে ২০১৬ সালে স্কুলিংয়ের গড়া ৫০.৩৯ সেকেন্ডের রেকর্ড ছুঁয়েছেন ড্রেসেল। ওদিকে স্কুলিং নিজের হিটে সবার শেষে ছিলেন। সব মিলিয়ে হয়েছেন ৪৪তম!
পরে যা করেছেন তাকে বিস্ময় না হয়ে উপায় কি! ছেলেদের ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ইভেন্টেও সোনা জেতার পথে রেকর্ড গড়েছেন ড্রেসেল। সেই সঙ্গে গেমসের এক আসরে অন্যতম সফল সাঁতারু হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারু। চলতি অলিম্পিকে নিজের তৃতীয় সোনা জেতার পথে ড্রেসেল সময় নিয়েছেন ৪৭.০২ সেকেন্ড। তিনি পেছনে ফেলেছেন কাইল চালার্সকে। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ৪৭.০৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু। অন্যদিকে যার রেকর্ড ভেঙেছেন ড্রেসেল, সেই কাইল চালার্স মাত্র ০.০৬ সেকেন্ড পেছনে থেকে রুপা জিতেছেন। আর রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটির ক্লিমেন্ট কোলেসনিকোভ (৪৭.৪৪) জিতেছেন ব্রোঞ্জ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৪*১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল রিলেতে সোনা জিতেছেন ড্রেসেল। ড্রেসেলের সামনে এখনও ৩টি পদক জেতার সুযোগ আছে। আরও একটি ব্যক্তিগত ৫০ মিটার এবং দুটি রিলেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। এর আগে অলিম্পিকের ইতিহাসে মাত্র দুইজন সাঁতারু এক আসরে ৬টির বেশি পদক জেতার কীর্তি গড়েছিলেন। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে মাইকেল ফেল্পস ৮টি এবং ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকে মার্ক স্পিৎজ ৭টি পদক জিতেছিলেন।
ড্রেসেল ছাড়াও সাতারে চমক দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক সাঁতারু। ৮০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে সোনা জিতেছেন ড্রেসেলের মার্কিন সতীর্থ রবার্ট ফিনকে। ইভেন্টের শুরুতে অনেকটা পেছনে থেকেও শেষ ৭৫ মিটারে তিনি ০.২৪ সেকেন্ডের ব্যবধানে পেছনে ফেলে দেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালির গ্রেগরিও পল্ট্রিনিরি এবং ব্রোঞ্জ পদক গলায় পরেছেন ইউক্রেনের মাইখাইলো রোমানচুক।
এমন দিনে টোকিও পুলে হাজির ছিলেন সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ান ফেল্পস নিজেও। অ্যাকুয়াটিক সেন্টারের গ্যালারিতে বসে অনুজদের এই সাফল্য উপভোগ করেছেন ২২টি অলিম্পিক পদকজয়ী এই কিংবদন্তি। উত্তরসূরিদের উৎসাহ যোগাতে সূদুর যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপানে আসা যে সার্থক তা-তো বলাই যায়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।