নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : পঞ্চম দিনে মাত্র ৩ ঘণ্টায় উড়ে গেছে বাংলাদেশের ১০ উইকেট। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যচ্যুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লংকান অধিনায়ক হেরাথ। তারপরও দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পক্ষে নন হাতুরুসিংহে। বরং প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানের ব্যবধানকেই দায়ী করেছেন তিনিÑ‘প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ভুল ছিল। উইকেট যখন ভালো ছিল, তখন আমাদের আরো ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান জমা করতে পারিনি। আমি সৌম্য’র উপর দায় চাপাতে চাই না। দিনের শুরুতে আমাদের ফোকাসও খুব বাজে ছিল। পরে আমরা খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ মিলে বের করতে চেষ্টা করেছি, কোথায় আমাদের ভুল ছিল।’
২ ইনিংসে সাকিবের আত্মাহুতিকেও ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখছেন তিনি ‘যখন রক্ষণাত্মক এবং আক্রমণাত্মক কথা বলা হবে, তাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে দিবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে,প্রতিপক্ষের গেম প্লান নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। তাই উইকেটে যেয়েই আক্রমণ করব, এটা হতে পারে না। ওই ম্যাচে যখন বড় পার্টনারশিপ হয়েছে, তখন বড় স্কোরের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। তবে ওই সময়ে আমরা একটু বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, প্রতিপক্ষের বোলিংয়ে মনস্তাত্তি¡ক ধাক্কা দিতে। কন্ডিশন এবং পিচ বিবেচনায় সেটাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। সাকিব, মুশফিকরা তারা উইকেট গিফট করেছে, তার সঙ্গে আমি একমত নই। কেউ উইকেট দিয়ে আসেনি। ওই দুই ডিসমিসালে স্পিনারকে অনেক রিডিং করতে হয়েছে। শ্রীলংকার এইসব বোলারদের বোলিংয়ে বৈচিত্র দেখেছি। তাদের বোলিং সম্পর্কে আমাদের ছেলেরা এখন বুঝতে পারছে।’
গল এ শ্রীলংকা যেখানে তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছে, সেখানে বাংলাদেশ খেলেছে ৩ পেস বোলার নিয়ে। তারপরও এই কৌশলের পক্ষেই বলছেন কথা। হায়দারাবাদ টেস্টে তাইজুলকে একাদশে বিবেচনা না করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবেই ‘২০ উইকেট নেয়ার উপায় খুঁজছি। আমাদের বোলিং অ্যাটাকটি খুবই তারুণ্যনির্ভর।আমরা এখন খেলছি দেশের বাইরে। সাকিব ছাড়া অন্য চার বোলার খেলেছে মাত্র ১৫টি টেস্ট। তাইজুল, কোকাবুরা বলে বেশি ভালো বল করে; কিন্তু এখানে খেলা হচ্ছে এসজি বলে। সেই বলে তাইজুলের বোলিং কার্যকরিতা খুব একটা ভালো হয় না- এটা আমি লক্ষ্য করেছি। তাই তাকে গলে খেলানো হয়নি।’
মিরাজের মানসিকতায় এবং মুস্তাফিজুরের টেস্টে প্রত্যাবর্তনে হয়েছেন মুগ্ধ হাতুরুসিংহে ‘মিরাজ সে এখনো অশ্বিন হয়ে যায়নি। তারপরও সে মানসিকতার দিক থেকে খুবই আক্রমণাত্মক। তাকে টেস্ট ম্যাচে প্রথম এবং চতুর্থ দিনের পার্থক্যটা বুঝতে হবে। মুস্তাফিজ নিউজিল্যান্ডে যে বোলিং করেছে,তার চেয়ে এখানে ভালো বল করেছে। পেস ফিরে পেয়েছে সে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে সে অনেক কাটার দিতে পেরেছে। সে খুব মেধাবী ক্রিকেটার। কন্ডিশনের সঙ্গেও দ্রæত মানিয়ে নিতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।