পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ফিচারের সংযোজন করে চলেছে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রকৌশলীরা টেলিভিশন প্রযুক্তিতে সংযোজন করেছেন ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপক সিস্টেম। বিশ্বে ওয়ালটনই প্রথম অগ্নি নির্বাপক প্রযুক্তিযুক্ত টেলিভিশন উদ্ভাবন করলো।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ইন্টিগ্রেটেড টেলিভিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্বের প্রথম অগ্নি নির্বাপক ফিচারের টিভি উন্মোচন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। সেসময় জার্মান রাষ্ট্রদূত ওয়ালটনকে বিশ্বের প্রথম ফায়ার এক্সটিংগুইশার ইন্টিগ্রেটেড সেইফ টিভি উৎপাদনকারীর সার্টিফিকেট প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেওবি গ্রুপের সিনিয়র বিজনেস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার মার্কাস ফাইবিগ, এআই বিজনেস সলিউশনস মালয়েশিয়ার পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও মো. হুমায়ূন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমাদের ভিশন হচ্ছে-২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটনকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল ব্র্যান্ডে পরিণত করা। ই-বাল্ব ডিভাইস ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার সেফটিযুক্ত ওয়ালটন টিভি আমাদের পণ্যের নিরাপত্তা এবং ব্র্যান্ড ভ্যালুকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম লাইটহাউজ ওয়ালটন। রেফ্রিজারেটর, টিভির মতো হাই-টেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে দেয়ার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে পজিটিভ ব্র্যান্ডিং করছে।
ওয়ালটন টিভির সিবিও প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন জানান, ভোল্টেজ ফ্ল্যাকচুয়েশন বা ওভারলোড, মরিচা পড়া, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট ইত্যাদি কারণে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে আগুন ধরতে পারে। এই ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে বিশ্বে প্রথম টেলিভিশনের মাদারবোর্ডে ই-বাল্ব মিনি ফায়ার এক্সটিংগুইশার সংযোজন করেছে ওয়ালটন। উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এখন ওয়ালটন। ৩৫টিরও বেশি দেশে, শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রফতানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন টিভির মোট রফতানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।