নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চাম্পিয়ন ট্রফি এবার গেল মালদ্বীপের ঘরে। গতবার এই টুর্নামেন্টের ট্রফিটি ছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। এবারের আসরে তারা সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়ার পর নিশ্চিত হয় ট্রফিটি দেশের বাইরের কোনো দলের কাছেই যাচ্ছে। গতকাল টাইব্রেকারে দক্ষিণ কোরিয়ার পচেয়ন সিটিজেন ক্লাব দলের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৩০ হাজার ডলার এবং রানার্সআপ দলকে দেয়া হয় ১০ হাজার ডলার অর্থপুরস্কার ও ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন মালদ্বীপের গোলকিপার কিরণ কুমার। সে পচেয়নের অধিনায়ক চু থাই এবং কো জি ম্যানের শট প্রতিহত করলে ফাইনাল ম্যাচে বিজয় নিশ্চিত হয় মালদ্বীপের দলটির। এরফলে ফিফা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা কোরিয়ানদের বিপক্ষে র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা মালদ্বীপের চমক জাগানিয়া জয় দেখে বিমুগ্ধ চট্টলার দর্শকরা। ম্যাচটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় নিস্পত্তির জন্য টাইব্রেকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস। চমৎকার কর্নার কিক নেন মিডফিল্ডার হাসান। তাতে দর্শনীয় হেডে গোল করে দলকে আনন্দে ভাসান ডিফেন্ডার হানিফ আব্দুল্লাহ ১-০। ছয় মিনিট পর গোল পরিশোধের সুযোগ এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পচেয়ন সিটিজেন ক্লাবের। ডি-বক্সের সামনে থেকে গোলবারে ক্ষিপ্র গতির শট নেন মিডফিল্ডার হোয়াং জিন। কিন্তু মালদ্বীপের ক্লাব দলটির বিশ্বস্ত গোলকিপার কিরণ কুমার তা রুখে দেন। ৩২ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে আরো একটি গোল হজম করতে বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ানরা। মালদ্বীপের দলীয় অধিনায়ক নাফিউ আলীর লম্বা পাসে মাঝ মাঠে ফাঁকায় বল পেয়ে ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। তার সামনে ছিল শুধু কোরিয়ান গোলকিপার চুই সিনং। কিন্তু গোলকিপারকে একা পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ইব্রাহিম। মিনিট চারেক পর ডি-বক্সের সামনে থেকে দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার পার্ক জাং গোলবারে যে শট নেন তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দু’মিনিট পর কোরিয়ানদের পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ হয়েছিল। ডি-বক্সের ভেতরে বামপাশে বল পেয়ে যান কোরিয়ান মিডফিল্ডার সিয়ং হিউন। আলতো টোকায় পাস দেন তিনি সুবিধাজনক স্থানে দাঁড়ানো সতীর্থ ফরোয়ার্ড জ্যাং ইয়ংকে। কালক্ষেপণ না করে গোলবারে পাওয়ারফুল শট নেন তিনি। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ দক্ষতায় মালদ্বীপের গোলকিপার কিরণ কুমার দলকে নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ানদের আর বেশিক্ষণ গোল বঞ্চিত রাখা যায়নি। ম্যাচের বয়স যখন ৪৪ মিনিট তখন দারুণ এক কর্নার কিক করেন মিডফিল্ডার কিয়ং ডিউক। তাতে দুর্দান্ত হেড করে সমতাসূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড জ্যাং ইয়ং ১-১।
মধ্য বিরতির পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় কোরিয়ানদের কাছে। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে কোরিয়ান মিডফিল্ডার কিয়ং ডিউক ডানপ্রান্ত থেকে ডি-বক্সে পাস দেন মিডফিল্ডার পার্ক সিয়ংকে। গোলবারে শট নেন তিনি। সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে মালদ্বীপের ডিফেন্ডার আহমেদেও মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায় ২-১। ৬৮ মিনিটে ফ্রি-কিক নেন কোরিয়ান মিডফিল্ডার কিয়ং ডিউক। তার শট মালদ্বীপের গোলকিপার কিরণ কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন। অবশেষে মালদ্বীপের দলটি সমতাসূচক গোলটি পায় ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার আজম মোহাম্মদের মাটি কামড়ানো শট কোরিয়ান দলপতি চু থাই ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। তার পায়ে লেগে বল জালে ঠাঁই নেয় ২-২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।