Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেট্রোরেলের লাইসেন্স ও নবায়নে সরকারের বাছাই কমিটি

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মেট্রোরেলের লাইসেন্স ও নবায়নের জন্য বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মেট্রোরেল আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করে। সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহম্মদকে সভাপতি এবং পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুল আমিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সদস্য করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বাজেট) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, অর্থ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মনিরুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম। গত ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। ‘মেট্রোরেল বিধিমালা, ২০১৬’ এ বলা হয়েছে, মেট্রোরেল স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লাইসেন্স ফিস বাবদ ২০০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। এ পরিমাণ টাকা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে দিতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী, বাছাই কমিটি আবেদন পাওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে সবকিছু যাচাই-বাছাই এবং বিস্তারিত অনুসন্ধানের পর সরকারের কাছে লাইসেন্স দিতে বা না দিতে সুপারিশ করবে। আবেদনকারী মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সেবা দিতে এবং লাইসেন্সের শর্ত পূরণে সক্ষম হলে সরকার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে লাইসেন্স ইস্যু করবে। শর্তপূরণ না করায় লাইসেন্স ইস্যু না করলে ১৫ দিনের মধ্যে তা আবেদনকারীকে জানাবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে। ২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলের মাধ্যমে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। ব্যয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পে জাইকা প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের রুট হবে সম্পূর্ণ এলিভেটেড (উপর দিয়ে)। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘন্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে এ রুটে।
মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী, রোকেয়া সরণী পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁ, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর হবে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচিবালয় ও মতিঝিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কমিটি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ