বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার তেরখাদা উপজেলায় মাত্র ৮ বছর বয়সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সনদ জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত গাউস মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি আগামী ৫ মার্চ (রোববার) থেকে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মো. আব্দুর রউফ, তেরখাদা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার বাবুল মন্ডল ও বারাসাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ মার্চের মধ্যে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেলে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের মো. ইমান উদ্দিন মোল্লার ছেলে গাউস মোল্লাকে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান শুনানীর জন্য ডাকেন। শুনানীতে গাউস মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা সনদের স্বপক্ষে তথ্য প্রমান দাখিল করেন। সেখানে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গাউস মোল্লাকে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয় পত্র (আইডি নং-১৯৬৩৪৭৯৫১২৭৪৬৭৩৪৩) রয়েছে। যেখানে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পত্রের আইডি নম্বরের প্রথম ৪টি সংখ্যা জন্ম সাল নির্দেশ করে। সে মোতাবেক গাউস মোল্লার জন্ম সাল ১৯৬৩। অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গাউস মোল্লাকে প্রদত্ত স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রে (আইডি নং-৭৭৭২৯১৩০৫৪) জন্ম সাল ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি উল্লেখ রয়েছে। এ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৮ বছর।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আমি গাউস মোল্লার মুক্তিযোদ্ধা সনদের সঠিকতা যাচাই বিষয়ে তদন্তের চিঠি পেয়েছি। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যের সাথে করনীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আগামী ৫ মার্চ থেকে আমরা তদন্তের কাজ শুরু করবো। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি তেরখাদার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে গাউস মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।