নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : নাঈম ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর পর গতকাল তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ধীমান ঘোষ। সাথে আলাউদ্দিন বাবুর অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে উত্তরাঞ্চল। তবে স্বস্তিতে নেই ইমরুল-তুষাররা। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো তাদের করতে হবে ১৯৮ রান।
সিলেটে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে আগের দিনের অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান নাঈম গতকাল বেশিদূর এগুতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪২ রানে ফেরেন মোশাররফ রুবেলের বলে এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে পড়ে। পরের ওভারে অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজাকেও ফেরান মোশাররফ। এরপরেই ধীমান-আলাউদ্দিন মিলে নবম উইকেটে গড়েন ৬০ রানের জুটি। মৌসুমের প্রথম ও ক্যারিয়ারের একাদশ শতক তুলে নিয়ে ১৩২ বলে ১১৩ রান করে তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন ধীমান। শেষ উইকেটে ইয়াসিন আরাফাতকে নিয়ে ৩১ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ আরো বড় করেন আলাউদ্দিন, যেখানে ইয়াসিরের অবদান ০! শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ৫৩৭ রানে আউট হওয়ার আগে চার- ছক্কায় ৫৪ রান করেন ২৫ বছর বয়সী এই ফাস্ট মিডিয়াম বোলার।
পরে বল হাতে এক স্পেলে চার উইকেটে নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস হারের মুখে ঠেলে দেন আলাউদ্দিন। মধ্যের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল। সাইফ হাসান ও আবদুুল মাজিদ মিলে গড়েন ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি। মাজিদকে ধীমানের স্টাম্পিংয়ে পরিণত করেন নাঈম। পরে মেহরব হোসেন জুনিয়রকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দেয় মধ্য। তখনই ধ্বংসাত্মক রূপে দেখা দেন আলাউদ্দিন। চার ওভারের এক স্পেলের প্রথম দুই ওভারে সাজঘরে ফেরান মেহরব জুনিওরকে এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে ফেলে ও সর্বোচ্চ ৭০ রান করা সাইফকে সরাসরি বোল্ড করে। পরের টানা দুই ওভারে ধীমানের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান মার্শাল আয়ুব এবং নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানকে। মাঝে তাইবুরকে ফেরান সানজামুল। পরে সরিফুল্লাহ ও মোশাররফের উইকেট দু’টি তুলে নেন ইয়াসিন ও ফরহাদ রেজা। মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহও এক উইকেটে ১২৩ থেকে পরিণত হয় ১৮৭/৮-এ। ম্যাচ কালই শেষ হয়ে যেতে পারত, নবম উইকেটে তারবির হায়দার ও মোহাম্মদ শরিফ প্রতিরোধ গড়ে না তুললে। ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেন তারা। তবে হার যে মধ্য এড়াতে পারছে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো তাদের করতে হবে ১২৭ রান। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পূর্বাঞ্চলের শীর্ষস্থানটা তাই আরো সুসংহত হওয়ার পথে।
চট্টগ্রামে কঠিন পরীক্ষার মুখে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা দক্ষিণাঞ্চলও। পূর্বাঞ্চলকে ব্যাটে পাঠাতেই এখনো তাদের করতে হবে ১৯৮ রান। যদিও তাদের হাতে আছে সবক’টি উইকেট। তবুও ফর্মে থাকা তুষার ইমরান, ইমরুল কায়েস ও শাহরিয়ার নাফিসদের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্চ। ২৯ রানে কোনো উইকেট না হরিয়ে দিন শেষ করে তারা।
এর আগে চার উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করা পূর্ব সাত উইকেটে ৫২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। আফিফ হোসেনের পর আর কেই তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি বটে। তবে তিন ফিফটি ও দুই ত্রিশোর্ধ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করে অলোক কাপালির দল। আগের ম্যাচে ৭১ রান করা কাপালি এবার ফেরেন ৬৬ রানে। আল-আমিনÑআবদুুর রাজ্জাকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১০৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মাদ শফিউল্লাহ ও রাহাতুল ফেরদৌস। দুজনেই পূর্ণ করেন অর্ধশতক। মাঝে ৩৫ ও ৪১ রানের দু’টি কার্যকরী ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী ও আবুল হাসান।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল
মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস : ১৮১। উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস : ১৩৪.৫ ওভারে ৫৩৭ (আগের দিন ৪২২/৬) (নাঈম ১৪২, ধীমান ১১৩, ফরহাদ ২, আলাউদ্দিন ৫৪, ইয়াসিন ০*; শরিফ ২/১২৫, মোশাররফ ৩/১২৫, শাহাদাত ২/১১১, শরিফুল্লাহ ২/৬৫, তাইবুর ১/৮০, তানবির ০/২৭)।
মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস : ৬৪ ওভারে ২২৯/৮ (সাইফ ৭০, মজিদ ৪৩, মেহরাব ১৪, মার্শাল ৮, তাইবুর ৪, নুরুল ১৮, তানবির ৪২*, শরিফুল্লাহ ২, মোশাররফ ৩, শরিফ ১৯*; আলাউদ্দিন ৪/৫৫, সানজামুল ১/৮৯, নাসির ০/২৩, ফরহাদ ১/২৭, নাঈম ১/৭, ইয়াসিন ১/২৭)।
দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল
দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস : ২৯৬। পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস : ১৭৮ ওভারে ৫২৩/৭ (ডিক্লে.) (আগের দিন ২৯০/৪) (অলক ৬৬, ইয়াসির ৩৫, আবুল হাসান ৪১, সাইফুদ্দিন ৫০*, রাহাতুল ৬০*; আল-আমিন ১/৯৫, রাজ্জাক ২/১৩৫, নাহিদুল ১/৯৮, জিয়াউর ১/৪২, নাজমুল অপু ২/৯৮, তুষার ০/৩৮)।
দক্ষিণাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস : ৮ ওভারে ২৯/০ (এনামুল ২৩*, ফজলে রাব্বি ৪*, আফিফ ০/১৪, নাঈম ০/২, সাকলাইন ০/৩, সাইফুদ্দিন ০/১, রাহাতুল ০/২, অলক ০/৫)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।